মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাকরি হারানোর ক্ষোভ থেকেই দিনাজপুরের ইউএনও ওয়াহিদার ওপর হামলা


প্রকাশের সময় :২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ৫:৪৪ : অপরাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টার:

দিনাজপুর ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের ওপর চাকরি হারানোর ক্ষোভ থেকে হামলা করেছেন স্বীকার করে নিয়েছেন রবিউল ইসলাম। দ্বিতীয় দফায় তিনদিনের রিমান্ড শেষে রোববার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে দিনাজপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল হোসেনের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। জবানবন্দিতে রবিউল জানান ক্ষোভ থেকেই তিনি একাই এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। তিনিই একমাত্র পরিকল্পানাকারী; একাই হামলায় অংশ নিয়েছেন।

পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। এর আগে সকাল ১০টার দিকে রবিউল ইসলামকে আদালতে নেয় পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির ওসি ইমাম জাফর সাংবাদিকদের বলেন, রবিউল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার বিষয়ে সম্মতি জানায়। তাই রবিউলকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল হোসেনের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন রবিউল। জবানবন্দিতে রবিউল জানান ক্ষোভ থেকে তিনি একাই এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। গত জানুয়ারিতে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ব্যাগ থেকে টাকা চুরির অভিযোগে রবিউলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ কারণে রবিউল ক্ষুব্ধ হন। ১ সেপ্টেম্বর তাকে চাকরি থেকে চূড়ান্ত বরখাস্ত করা হয়। এতেই রবিউল ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়ে হামলা করেন।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, এ ঘটনার একমাত্র পরিকল্পনাকারী এবং হামলাকারী তিনি নিজেই। আক্রোশ থেকেই এ ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি। তার দেয়া তথ্যমতে হামলায় ব্যবহৃত হাতুড়ি, লাঠি, মই, চাবিসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে তার পরনের প্যান্ট, হাতের ছাপসহ মোবাইলের লোকেশন আলামত হিসেবে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এসব আলামত বিচারকার্যে সহায়ক হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গত ৯ সেপ্টেম্বর সন্দেহভাজন ও প্রযুক্তির সহায়তার মাধ্যমে রবিউল ইসলামকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিজের দোষ স্বীকার করেন রবিউল।

এ বিষয়ে ১২ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য। তিনি জানিয়েছিলেন, রবিউল দায় স্বীকার করে জানিয়েছেন এ ঘটনায় প্রধান পরিকল্পনাকারী এবং একমাত্র হামলাকারী তিনি নিজে। তাকে ওই দিনই আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ। আদালতের বিচারক অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই দিন থেকেই রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। পরে গত বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে তোলা হয়। ওই দিনই তাকে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে ডিবি পুলিশ। পরে তাকে তিনদিনের রিমান্ডে দেয়া হয়।

ট্যাগ :