স্টাফ রিপোর্টারঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর নিয়ে অনিয়ম বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশের জেরে সাংবাদিককে মোবাইল ফোনে গালাগাল করার ঘটনায় ক্ষমা চেয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কায়সার খসরু।
শুক্রবার দুপুরে হিলডাউন সার্কিট হাউসে ওই ঘটনায় বসা জরুরি বৈঠকে তিনি ক্ষমা চেয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন ও অনুতপ্ত বলে জানান। বৈঠকে জেলা প্রশাসক ও কক্সবাজার প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক ইউনিয়নের শীর্ষ নেতারা উপস্থিতি ছিলেন।
এদিকে ফোনে গালাগাল করার ঘটনায় বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরাও খুবই লজ্জিত। এ সময় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার আশ্বাসও দেন তিনি।
বৈঠকে উপস্থিত কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুল ইসলাম বলেন, তিনি অফিশিয়াল দায়িত্ব পালনরত একজন সাংবাদিকের সঙ্গে যে ভাষায় কথা বলেছেন, তা একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তার কাছে আশা করা যায় না। তিনি কক্সবাজার তথা টেকনাফে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। তাকে দ্রুত অপসারণ করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
বৈঠকে জেলা প্রশাসক ছাড়াও তিনজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক ইউনিয়নের অন্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার ‘নিচু জায়গায় নির্মাণ করা উপহারের ঘর পানিতে ভাসছে’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ ছিল- ‘কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা হোয়াব্রাং এলাকার সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের সবগুলো নতুন ঘর পানিতে ভাসছে। ফলে সেখানে থাকা ২৭টি পরিবার চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে এক পর্যায়ে সাংবাদিক সাইদুল ফরহাদকে ফোন করে গালাগাল করেন টেকনাফের ইউএনও কায়সার খসরু।