এম.এইচ মুরাদঃ
করোনা ভাইরাস চিকিৎসায় দেশে প্রথমবারের মতো প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করা হয়েছে। এ চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করেছে এভার কেয়ার (অ্যাপোলো) হসপিটাল। প্লাজমা থেরাপি একটা আশা জাগানো রিসার্চ ট্রিটমেন্ট, যা সাম্প্রতিক সময়ে উন্নত বিশ্বের অনেক দেশে সফলভাবে চালু হয়েছে। বুধবার বিকেলে এভার কেয়ার হাসপাতালের করপোরেট ব্র্যান্ডিং এবং মার্কেটিং কমিউনিকেশন বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন মামুনের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এভার কেয়ার হসপিটাল ঢাকার হেমাটোলজি অ্যান্ড স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্ট বিভাগের কো-অর্ডিনেটর ও সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ বলেন, কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত সিরিয়াস রোগীদের আইসিইউতে নেওয়া হচ্ছে। ভেন্টিলেশনসহ আরও অনেক সাপোর্ট সিস্টেমের প্রয়োজন হচ্ছে। নিয়মিত অন্যান্য চিকিৎসার পাশাপাশি কোভিড-১৯ এর সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য বিশ্বজুড়ে চলছে হাজারও গবেষণা। যার মাধ্যমে বেরিয়েছে, এক্ষেত্রে অন্যতম কার্যকরী একটি সিস্টেম কনভালসেন্ট প্লাজমা থেরাপি। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে সুস্থ রোগীর দেহ থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করে গুরুতর আক্রান্ত অন্য রোগীর দেহে সঞ্চালনের মাধ্যমে তাদের বহুলাংশেই সুস্থ করে তোলা সম্ভব। এসব রোগীর ৯৭ থেকে ৯৮ ভাগই সুস্থ হচ্ছেন। আমরা যথেষ্ট আশাবাদী এ চিকিৎসা নিয়ে। তিনি আরও বলেন, এই ট্রিটমেন্টের সম্ভাবনা ব্যাপক এবং ট্রিটমেন্টের পর রোগীর পর্যবেক্ষণও আছে।
এ বিষয়ে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগে অনেক রোগী ভালো হয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে ভালো হয় না। এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে কোন চিকিৎসক কেমন করে প্রয়োগ করলেন এর ওপর। তবে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করে দেখা যেতে পারে, এর কার্যকারিতা কেমন। তবে প্লাজমা থেরাপি চিকিৎসা পদ্ধতি বাংলাদেশে অনুমোদিত কি-না, সেটা জানা নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। ইতোমধ্যে আমেরিকা, ইরান, ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীরা এই চিকিৎসায় সুফল পেয়েছে। এই চিকিৎসা পদ্ধতির নাম কনভালসেন্ট প্লাজমা থেরাপি। গত ৩ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় পরীক্ষামূলকভাবে এই প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগের সুপারিশ করেছে।