স্টাফ রিপোর্টারঃ
করোনাভাইরাসে প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্ত রোগী ও মৃতের সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে ছুটি না বাড়িয়ে এলাকাভিত্তিক লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তিনটি জোনে ভাগ করে এলাকাভিত্তিক ম্যাপ প্রস্তুত হয়েছে। রবিবার (৭ জুন) এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
জানা গেছে, সংক্রমণের এলাকা ভিত্তিক তালিকা প্রস্তুত করে তার সঙ্গে কিছু সুপারিশ ও প্রস্তাব তৈরি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আজকের মধ্যে সেই তালিকা ও প্রস্তাবের বিস্তারিত প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাবে মন্ত্রণালয়। কাল সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত দেবেন প্রধানমন্ত্রী। কাল প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের পরই কিছু এলাকায় লকডাউনের ঘোষণা আসতে পারে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রেড জোন পুরোপুরি কঠোর লকডাউনের আওতায় থাকবে। এ জোনের মধ্যে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, চট্টগ্রামসহ যেসব জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি সেখানে এলাকাভিত্তিক লকডাউন করা হবে। আর ইয়োলো ও গ্রিন জোনে বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে তালিকাভুক্ত করা হবে। মূলত সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রতিদিন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মোবাইল নম্বর চিহ্নিত করে করোনা মানচিত্র আপডেট করা হবে। আক্রান্তের ঘনত্ব অনুযায়ী এই মানচিত্র হবে তিন ধরনের- রেড, ইয়েলো ও গ্রিন।
এ বিষয়ে শনিবার (৬ জুন) দুপুরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, তিন জোনে বিভক্ত করে লকডাউনের বিষয়ে একটি তালিকা করে তার সঙ্গে কিছু প্রস্তাবনা দিয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আজকেই পাঠিয়ে দেব। প্রধানমন্ত্রী কাল সার্বিক বিষয়টি দেখে সংযোজন বা বিয়োজন করে সিদ্ধান্ত দেবেন। পুরো বিষয়টিই প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। যেসব এলাকায় সংক্রমণ বেশি সেগুলোকে রেড জোনে রাখা হবে।
প্রাথমিকভাবে কোন এলাকাগুলোকে রেডজোনে রাখা হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, চট্টগ্রামমের যেসব এলাকাগুলোতে সংক্রমণ বেশি সেগুলো রেড জোনে থাকবে। এছাড়াও অন্যান্য যেসব জেলায় সংক্রমণ বেশি সেগুলোও রেড জোনে রাখা হবে।
সূত্র বলছে, চলতি সপ্তাহের মধ্যে রেড মানচিত্রের এলাকাগুলোতে লকডাউন কার্যকর করা হবে। আর এসব এলাকায় আরোপ করা হবে সর্বোচ্চ কড়াকড়ি। রেড মানচিত্রের এলাকা থেকে কাউকে অবাধে চলাচল করতে দেওয়া হবে না। তবে বাকি দুই জোনে চলাচলে কড়াকড়ি থাকবে না। সেখানে সতর্কতা রাখতে নেয়া হবে বিশেষ ব্যবস্থা।