স্টাফ রিপোর্টারঃ
মেহেদী হাসান হাসিব, নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আমার মনে হয় জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) কোটি কোটি ভুল। আমি নিজেও ব্যক্তিগত ভাবে আমার বন্ধু-বান্ধব যারা আছে, ৪০-৫০টা আমি নিজেও করে দিয়েছি। তবে আমরা সংশোধনের চেষ্টা করছি। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের সঙ্গে আয়োজিত সংলাপে বসে এসব কথা বলেন।
দলটির সাধারণ সম্পাদক সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া এনআইডি সংশোধনের হয়রানি প্রসঙ্গ তুলছে সিইসি বলেন, ভুলের পরিমাণটা এতো বেশি গেছে, আমার মনে হয় কোটি কোটি ভুল। আ-কার, ই-কার, ঈ-কার নিয়ে ওখানে বিপদে পড়ছে, এয়ারপোর্টে বিপদে পড়ছে, ওর সাথে মিলছে না। আমি নিজেও ব্যক্তিগত ভাবে আমার বন্ধু-বান্ধব যারা আছে, ৪০-৫০টা আমি নিজেও করে দিয়েছি। হ্যাঁ, এটা সত্য বিলম্ব হচ্ছে। কেন দু’বছর, চার বছর বিলম্ব হচ্ছে- কারণটা হচ্ছে বছর দুয়েক আপনার করোনা ছিল। তখন কার্যক্রমটা কমে ছিল। ভুলের সংখ্যাও কিন্তু হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ নয়। মায়ের নাম, বাবার নাম, অনেকে হঠাৎ করেই নামে থেকে মোহাম্মদ বাদ দিতে চাচ্ছেন, মোহাম্মদ ছোট না বড় হবে, এতো সব দাবী।
তিনি বলেন, আমাদের তরফ থেকে সেই ভাবে যেহেতু আমাদের কতগুলো কাজ আমরা নির্বাচনের কাজ করি। আবার রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের কাজ কিন্তু আমাদের ওপর পড়ে গেছে। সাংবিধানিকভাবে এটা কিন্তু আমাদের নয়, আইনের ভিত্তিতে দেওয়া হয়েছে। তারপরে এনআইডি যেটা এটা বিশাল একটা কর্মযজ্ঞ। এখন আবার ওরা ভোটার তালিকা হালনাগাদ নিয়ে কাজ করছে।
এই সময় এনআইডি মহাপরিচালকে একেএম হুমায়ুন কবীর বলেন, অনেক ইচ্ছাকৃত ভুল হয়েছে। আবার অনিচ্ছাকৃত ভুল হয়েছে। সবার শিক্ষা সনদ থাকলে সুবিধা হতো। আমরা মানুষকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করছি। আমাদের ভুল হচ্ছে। তবে কমিশনের নির্দেশ আমরা প্রতিপালন করার চেষ্টা করছি। তিনি আরো বলেন, ২০০৭ সালের যখন এনআইডি করা হয়েছিল তখন ভেবেছিল এটা দিয়ে আর কী হবে। এখন যে এটাই গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে কেউ ভাবেনি। আমরা সবাই চেষ্টা করছি।
সংলাপে দলটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।