মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউএনওর প্রত্যাহার চান সব মেয়র-চেয়ারম্যান


প্রকাশের সময় :২২ আগস্ট, ২০২১ ৩:৪৪ : পূর্বাহ্ণ

বরিশাল ব্যুরো:

ইউএনওর প্রত্যাহার চান সব মেয়র-চেয়ারম্যান
ইউএনও মুনিবুর রহমানকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বরিশাল বিভাগের পৌর মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যানরা। তারা ইউএনওর বাসভবনে থাকা সিসি ক্যামেরার ৩ ঘণ্টার ফুটেজ জনসম্মুখে প্রকাশের দাবিও জানান। উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশন বিভাগীয় কমিটির নেতারাও ইউএনওর অপসারণসহ পুরো ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন।

গতকাল শনিবার বিকালে বরিশাল ক্লাব মিলনায়তনে পৃথক সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ সমাবেশে এসব দাবি তোলা হয়। এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় হওয়া দুই মামলায় এখন পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রাজধানী থেকে বরিশাল নগরীর ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাইয়েদ আহম্মেদ মান্নাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে এ বিষয়ে কিছুই জানে না বলে দাবি বরিশাল পুলিশের।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম গতকাল শনিবার জানান, বুধবার ঘটনার দিন এবং পরদিন ১৩ জনকে বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে আরও আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মমিন উদ্দিন ওরফে কালুকে শুক্রবার রাতে রুপাতলী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এই ২১ জনের মধ্যে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহামুদ বাবু এবং বরিশাল জেলা বাস-মিনিবাস-কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ শাহরিয়ার বাবুও রয়েছেন।

কাউন্সিলর মান্না গ্রেফতার

বরিশালে ইউএনওর সরকারি বাসভবনে হামলা ও সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলার দুই নং আসামি শেখ সাইদ আহমেদ মান্নাকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। গতকাল শনিবার দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি ইমরান খান। এর আগে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ঢাকার মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদ এলাকার বোনের বাসা থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন মান্নার বড় বোন কানিজ ফাতেমা।

এ বিষয়ে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, হামলার ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের হয়। মামলায় এজাহারনামীয় আসামি ছিলেন শেখ সাঈদ আহমেদ মান্না। শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি আওয়ামী লীগের

বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে হামলা, পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছে বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় বরিশাল নগরের কালিবাড়ি রোডে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর বাসভবন সেরনিয়াবাত ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে মেয়র উপস্থিত হননি। তিনি বাড়িতেই ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বুধবার রাতের ঘটনার বিবরণের লিখিত বক্তব্য পাঠকালে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল হোসেন লিটু বলেন, রুটিন কাজের ধারাবাহিকতায় উপজেলা পরিষদে (থানা কাউন্সিল) ব্যানার অপসারণ করতে গিয়ে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইউএনওর বাধার মুখে পড়েন। ইউএনও দম্ভোক্তি করে অশোভন আচরণ ও সবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে থাকেন। পরবর্তীতে ইউএনও নিজে ও তার নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যরা সিটি করপোরেশনের স্টাফ, মেয়র, প্যানেল মেয়রসহ দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর শটগানের গুলি ছোড়েন। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ৬০ জনের অধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এবং ৫০ এর অধিক পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হয়ে ব্যক্তিগত পর্যায়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, গত রাতের উদ্ভূত পরিস্থিতির ব্যাখ্যা ও পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আজ দুপুর ১২টায় সেরনিয়াবাত ভবনে একটি সভার আহ্বান করা হয়েছিল। কিন্তু দুই শতাধিক পুলিশ সদস্য সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত মেয়রের নিরাপত্তার অজুহাতে সেরনিয়াবাত ভবন ঘিরে রাখে। সেই সময় যে নেতাকর্মীরা ওই বাড়িতে প্রবেশের চেষ্টা করে তাদের গ্রেফতারের হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এর কারণ বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ যাতে সুসংগঠিত হতে না পারে। এখনও নেতাকর্মীদের বাড়ি-বাড়ি পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। শোকাবহ আগস্টে পুলিশ ও সিভিল প্রশাসনের এমন আচরণ সরকারের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করাসহ বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত নেতাকর্মীদের প্রতি চরম আঘাত। শোকের মাসে শান্তির নগরীকে কেন অশান্ত করে তোলা হলো সেটাই আমাদের প্রশ্ন।

বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে এম জাহাঙ্গীর বলেন, ছত্রভঙ্গ করতে বিভিন্ন কৌশল থাকতেও সরাসরি গুলি নিক্ষেপ করা হলো। বলা হয়েছে, ইউএনও এর বাসভবনে হামলা চালানো হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমি সেখানে ছিলাম, তার ঘরের একটি জানালার কাচও ভাঙেনি। সংবাদ সম্মেলনে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক বলেন, দিনের বেলা যানবাহনের চাপের কারণে পরিচ্ছন্ন অভিযান রাতের বেলা পরিচালনা করা হয়। এটা আগে থেকেই হয়ে আসছে।

ট্যাগ :