মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪ ২৭শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমাদের যে রিজার্ভ আছে, তা দিয়ে ৫ মাসের আমদানি ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব: প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশের সময় :১৯ নভেম্বর, ২০২২ ৩:১৩ : অপরাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

‘আমাদের এখনও যে রিজার্ভ রয়েছে, তা দিয়ে পাঁচ মাসের আমাদানি ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব। এটি তিন মাসের থাকলেই যথেষ্ট।’ শনিবার (১৯ নভেম্বর) গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘৮ বিলিয়ন ডলার আমরা আলাদাভাবে বিনিয়োগ করেছি। আধুনিক বিমান ক্রয় করেছি। এটা আমাদের রিজার্ভের টাকা দিয়েই করেছি। অন্যের কাছ থেকে টাকা ধার নিইনি। কারণ, ধার নিলেও সে টাকা সুদসহ শোধ করতে হতো। সেই টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিমান নিয়েছে এবং ২ শতাংশ সুদে আবার ফেরত দিচ্ছে। ফলে দেশের টাকা দেশের থাকছে। রপ্তানি ক্ষেত্রে প্রণোদনা দেওয়ায় টাকা খরচ হচ্ছে। এতে আমাদের দেশের লোকই লাভবান হচ্ছে।’

রিজার্ভ নিয়ে সমালোচকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হঠাৎ করে কেউ কেউ পারদর্শী হয়েছে, রিজার্ভ নিয়ে অনেক কথা শোনা যাচ্ছে। করোনাকালে আমাদের আমদানি হয়নি, কেউ বিদেশে যেতে পারেনি, কোনও রকম খরচ ছিল না। সবচেয়ে বড় কথা প্রবাসে যারা…যেহেতু কেউ বিদেশে যেতে পারেনি, হুন্ডি ব্যবসাও ছিল না, একেবারে সরকারিভাবে সব টাকা এসেছে। ফলে আমাদের ভালো ফান্ড আসে।’

দেশের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেক সমালোচনা, এটা-সেটা শুনতে হয়। এত কষ্ট করে, দিন-রাত পরিশ্রম করে আজ বাংলাদেশকে যে জায়গায় নিয়ে এসেছি, তা বাইরের লোকেরা দেখে। কিন্তু আমাদের দেশের ভেতরের কিছু লোক জীবনেও দেখে না, তারা দেখবেও না। অন্য সরকার থাকলে তাদের অনেক সুবিধা থাকে।’

বিএনপির আমলের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, ‘১৯৯১ থেকে ৯৬ পর্যন্ত বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন রিজার্ভ রেখে গিয়েছিল মাত্র ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ইউএস ডলার। যেটা তিন মাসের খাবার আমদানি করারও পয়সা হতো না।’

সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বলেন, ‘তারপরও আমি বলবো, তেল-পানি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে, মিতব্যয়ী হতে হবে। কারণ, সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। তার প্রভাব থেকে আমরা মুক্ত না।’

সবাইকে উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ, খুবই ভয়ানক অবস্থা। সেখানে আমরা যে এখনও চলছি, আমাদের নিজেদের উৎপাদন নিজেরা বাড়াতে পারলে কোনও দিন দুর্ভিক্ষের আঁচ বাংলাদেশে লাগবে না। এটা হলো বাস্তবতা। আমাদেরটা আমাদেরই করে নিতে হবে।’

দেশে প্রয়োজনের চেয়ে উৎপাদন বেশি জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা যেমন উপায় করছি, খরচা করছি। আমরা খাদ্য উৎপাদন বাড়িয়েছি। যেটা আমাদের প্রয়োজন, তার থেকে বেশি উৎপাদন করছি। তারপরও আমরা আরও খাদ্য সব সময় মজুত রাখি আপৎকালের জন্য। যেন আমার দেশের মানুষের কোনও রকম কষ্ট না হয়।’

বাংলাদেশ সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। খালি চোখে দেখে না আমাদের দেশের কিছু মানুষ। তাদের কিছুই ভালো লাগে না। তাদের গণতান্ত্রিক সরকার থাকলে ভালো লাগবে না। তাদের ভালো লাগে অগণতান্ত্রিক কিছু হলে, কারণ তাদের মূল্য বাড়ে।’

ট্যাগ :