মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবৈধ সম্পদের মামলায় ফাঁসলেন স্ত্রীসহ টঙ্গী থানার সাবেক ওসি


প্রকাশের সময় :২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ৫:৪৫ : অপরাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টার:

প্রায় ৭০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গাজীপুরের টঙ্গী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী রুহুল ইমাম ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পৃথক দুই মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুদকের গাজীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সেলিম মিয়া বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন। সংস্থাটির উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রথম মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের টঙ্গী থানার সাবেক ওসি গাজী রুহুল ইমামের দাখিল করা সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে ৪৮ লাখ ৮১ হাজার ৫৬০ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ৩২ লাখ ২৪ হাজার ৫৪৭ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ৮১ লাখ ৬ হাজার ১০৭ টাকার স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়।

এছাড়া স্ত্রীকে ঋণ প্রদানসহ তার পারিবারিক ব্যয় পাওয়া যায় ২৯ লাখ ৫৫ হাজার ৭৪০ টাকা। অর্থ্যাৎ ব্যয়সহ তার মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ ৬১ হাজার ৮৪৭ টাকা। কিন্তু দুদকের অনুসন্ধানে আয় ও ব্যয় মিলিয়ে ৯১ লাখ ৫৩ হাজার ৬৭২ টাকার গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায়। বাকি ১৯ লাখ ৮ হাজার ১৭৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে অর্জন করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে।

অন্যদিকে দ্বিতীয় মামলায় তার স্ত্রী আসমাউল উল্কার সম্পদ যাচাই-বাছাইকালে সব মিলিয়ে ১ কোটি ৯ লাখ ৬৮ হাজার ৬৯৫ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। যার মধ্যে ৫৯ লাখ ৩৬ হাজার ৮০০ টাকার সম্পদের বৈধ উৎস পাওয়া গেলেও বাকি ৫০ লাখ ৩১ হাজার ৮৯৫ টাকার সম্পদ অর্জনের বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি। যা মূলত তার স্বামী গাজী রুহুল ইমামের ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত অবৈধ আয়ের মাধ্যমে তিনি মালিকানা অর্জন করেছেন। যে কারণে স্ত্রী আসমার পাশাপাশি স্বামী সাবেক ওসিকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে।

তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ধারা ও দন্ডবিধির ১০৯ ধারা অভিযোগ আনা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, পুলিশের ওই দম্পতির বিরুদ্ধে একই বিষয়ে ২০২২ সালের আগস্টে দুদক থেকে মামলা অনুমোদন হয়েছিল। কিন্তু দুদকের এখতিয়ারকে চ্যালেঞ্জ করে এ বিষয়ে হাইকোর্টে রিট দাখিল হলে, দীর্ঘদিন মামলার বিষয়টি স্থগিত ছিল। রিট নিস্পত্তি হওয়ার পর আদালতে নির্দেশনা অনুসরণ করে অনুসন্ধান পুনরায় শুরু হওয়ার পর আজ মামলা দুটি দায়ের করে দুদক।

ট্যাগ :