স্টাফ রিপোর্টার:
দীর্ঘ অপেক্ষার প্রহর শেষ হলো। অবশেষে এক মাস দুই দিন পর সোমালিয়ান জলদস্যুদের সঙ্গে সমঝোতার পর মুক্তিপণ দিয়েই জিম্মি থাকা ২৩ নাবিক ও এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ মুক্ত করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে সোমালিয়া উপকূল থেকে জাহাজটি আরব আমিরাতের দিকে রওনা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, হেলিকপ্টার থেকে ডলার ফেলার পরই নাবিকদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তবে মুক্তিপণ হিসেবে জলদস্যুদের কত ডলার দেওয়া হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
বাংলাদেশে সময় শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাত সোয়া তিনটার দিকে এ খবর নিশ্চিত করেন জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপ।
জলদস্যুদের সঙ্গে সমঝোতার কথা স্বীকার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টও করেছে কেএসআরএম গ্রুপের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত। নতুন বছরের শুরুর দিনই এই সুসংবাদ দিলেন তিনি। শাহরিয়ার জাহান রাহাত খবরের কাগজকে বলেন, জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছে।
আজ (১৪ এপ্রিল) দুপুর ১২ টায় সংবাদ সম্মেলন করার কথা জানায়েছে জাহাজটির মালিকপক্ষ।
এক ক্ষুদে বার্তায় মালিকপক্ষের মুখপাত্র ও মিডিয়া অ্যাডভাইজার মিজানুল ইসলাম জানান, আজ রবিবার সোমালিয়ান জলদস্যুদের কাছে জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর বিষয়ে কেএসআরএম করপোরেট কার্যালয়ে বেলা ১২টায় এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জাহাজটি মুক্ত করা হয়েছে। এটি এখন আরব আমিরাতের দিকে যাচ্ছে। সেখানে পণ্য খালাস করবে আর নাবিকরা দেশে ফিরে আসবে শিগগির।’
গত ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টায় মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে দস্যুরা। পরে জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এতদিন ধরে নোঙর করা ছিল জাহাজটি। জাহাজটিতে ৫৫ হাজার টন কয়লা রয়েছে।
৪৫ হাজার ৬৫৩ ডেডওয়েট টন (ডিডব্লিউটি) ওজনের বাল্ক ক্যারিয়ার এমভি আবদুল্লাহর মোট দৈর্ঘ্য (এলওএ) ১৮৫ দশমিক ৭৪ মিটার এবং প্রস্থ ৩০ দশমিক ৪ মিটার।
নিজ দেশের উপকূলে নেওয়ার ৯ দিনের মাথায় দস্যুরা মুক্তিপণের জন্য জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করে। নানা পর্যায়ে দর-কষাকষির পর দস্যুদের সঙ্গে সমঝোতা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছিল বলে ঈদের আগেই আভাস দিয়েছিল জাহাজটির মালিকপক্ষ। তবে ঈদের আগে মুক্তি পাওয়ার কথা বলা হলেও তা আর হয়ে ওঠেনি।শেষমেশ ঈদের তিন দিন পর মুক্তি পেল জাহাজ জাহাজের ২৩ নাবিক।