স্টাফ রিপোর্টারঃ
করোনাভাইরাসের মহামারির মধ্যেই সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধিসহ কয়েকটি শর্ত পালনের মধ্য দিয়ে দেশজুড়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল ফের শুরু হয়েছে। প্রায় দুই মাসেরও বেশি সময় পর গতকাল রোববার থেকে আট জোড়া ট্রেন সূচি অনুযায়ী চলাচল শুরু করেছে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল আলম গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী অনলাইনে টিকিট বিক্রির মাধ্যমে ট্রেনগুলো ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল শুরু করেছে। রোববার চালু হওয়া আট জোড়া ট্রেনের মধ্যে রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের চার জোড়া ট্রেন-বনলতা এক্সপ্রেস, চিত্রা এক্সপ্রেস, পঞ্চগড় ও লালমনি এক্সপ্রেস রয়েছে।
পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ বলেন, যেহেতু কাউন্টার থেকে কোনো টিকিট বিক্রি হচ্ছে না তাই অতিরিক্ত যাত্রী যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নির্ধারিত টিকিটের বাইরে কোনো যাত্রী যাতে ট্রেনে উঠতে না পারে সেই বিষয়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে স্টেশনগুলোতে।
সকালে রাজশাহী স্টেশনে নিজে উপস্থিত ছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেন নির্ধারিত সময়ে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের চার জোড়া ট্রেনও- সোনার বাংলা, সুবর্ণ, কালনী ও উদয়ন এক্সপ্রেসও চলাচল করছে বলে রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মো. মিয়া জাহান জানান। তিনি বলেন, কয়েকটি ট্রেনের কিছু টিকিট অবিক্রীত রয়ে গেছে। তবে টিকিটের বাইরে কোনো যাত্রী যেতে পারবে না। সেজন্য যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, ৫ দিন আগে অনলাইনে টিকিট কেনা যাবে। কাউন্টার থেকে কোনো টিকিটে বিক্রি করা হচ্ছে না। ট্রেনে কোনো খাবারের ব্যবস্থা থাকছে না এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বালিশ-কাঁথা সরবরাহ হবে না। রেল যাত্রায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক, রেলের এ বগি থেকে ও বগি চলাফেরা করা যাবে না।
বগির এক দরজা দিয়ে প্রবেশ অন্য দরজা দিয়ে বের হতে হবে। যাত্রীদের তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য ৬০ মিনিট আগে স্টেশনে আসতে হবে। দর্শনার্থীদের জন্য প্ল্যাটফর্ম টিকিট বিক্রি বন্ধ রয়েছে।
এদিকে রোববার থেকে রেলভবনে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজে যোগ দিয়েছেন; প্রবেশ মুখে বসানো হয়েছে জীবাণুনাশক টানেল। জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল আলম জানান, স্বাস্থ্য বিধি মেনে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রেলভবনে প্রবেশ করছেন।