মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৩৪নং পাথরঘাটা ওয়ার্ডে গরিব অসহায় ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী তুলে দিচ্ছেন দানবীর আশফাক আহমেদ


প্রকাশের সময় :২১ এপ্রিল, ২০২০ ৩:০১ : অপরাহ্ণ

এম.এইচ মুরাদঃ

নভেল করোনাভাইরাসের আতঙ্কে থমকে আছে জনজীবন। বন্ধ রয়েছে দোকানপাট ও যান চলাচল। এ অবস্থায় কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন গরীব অসহায় দিনমজুরেরা এবং কর্মহীন হয়ে পড়া নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা। এমন পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৩৪নং পাথরঘাটা ওয়ার্ডে অসহায় দুস্থ, নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী, রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক ও ৩৪নং পাথরঘাটা ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব আশফাক আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘পুরো দেশ আজ করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ এ স্তব্ধ হয়ে গেছে। গত কয়েক যুগে প্রিয় মাতৃভূমির এমন পরিস্থিতি আর কেউ কখনো দেখেনি৷ ১৬ কোটি মানুষের এই দেশে প্রায় ৬ কোটির মত মানুষ রয়েছে যারা অসহায়, গরীব দুঃস্থ। দিনে ১ বেলা খাবার জোটাতে যাদের হিমশিম খেতে হয়। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে তারাই আজ সবচাইতে বেশি বিপদে। নেই কোনো আয়, রোজগার, তাই পেটেও নেই খাবার। এই মুহূর্তে তাদের পাশে দাঁড়ানো মানুষ হিসেবে আমাদের দায়িত্ব। তারই অংশ হিসেবে অসহায় দুস্থ ও গরীব লোকদের পাশে দাঁড়াতে পেরে নিজেকে অনেক সৌভাগ্যমান মনে হচ্ছে।’

তিনি সম্পূর্ণ নিজের অর্থায়নে ইতিমধ্যে প্রায় ৭০০ পরিবারকে এাণ সামগ্রী ৩৪নং পাথরঘাটা ওয়ার্ড এলাকার সাধারণ জনগণের ঘরে ঘরে পৌঁছিয়ে দিয়েছেন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আরও খাদ্য সামগ্রী অসহায় মানুষের কাছে পৌঁছে দিবেন বলে জানিয়েছেন।

আশফাক আহমেদ শুধু খেটে খাওয়া দিন মজুরই নয় এবার তিনি খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন সে সব মধ্যবিত্ত মানুষের মাঝে যারা সরকারি ত্রাণের জন্য চক্ষু লজ্জায় দাঁড়াতে পারেন না কারো কাছে বা কোন সরকারি ত্রাণের লাইনে। মুখ ফুটে কাউকে বলতে পারেন না তাদের অভাব অনটনের কথা। তাই আশফাক আহমেদ রাতের আঁধারে নিজে সে সব মানুষের খোঁজ খবর নিয়ে এসে পরে লোক চক্ষুর আড়ালে সেসব মধ্যবিত্ত পরিবারের কাছে খাদ্য সামগ্রী বা কখনো নগদ অর্থ বিতরণ করে যাচ্ছেন। তার এই মহান কর্মযজ্ঞের পরেও কোথাও নেই তাঁর ত্রাণ বিতরণ কালে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো কোন ফটোসেশান এর ছবি। নেই কোন পত্রিকা অথবা টিভি মিডায়ার সামনে নিজেকে দানবীর সাজানোর নির্লজ্জ প্রতিযোগিতা। অত্যন্ত নিভৃতে থেকে কি করে সত্যিকারের জনসেবা করতে হয় আশফাক আহমেদ যেন তারই জীবন্ত উদাহরণ। মধ্য মার্চ থেকে চলছে তার নিরব ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি শ্রমহীন এবং শ্রমজীবী কর্মহীন মানুষের জন্য। গত কয়েকদিন আগে থেকে শুরু করেছেন নিন্মবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত মানুষের মাঝে তাঁর ত্রাণ বিতরণের এক মহতি কার্যক্রম। এবং তিনি ঘোষণা দিয়েছেন যে,তার এই ত্রাণ কার্যক্রম চলতেই থাকবে যতো দিন পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষ স্থিতিশীল পর্যায় না পৌছায়। তিনি বলেন, আমার এই সাহায্য সহযোগিতা থাকবে সবার জন্য উমুক্ত। কোন দল, গোষ্ঠী নয় মানুষের জন্যই আমার এই সামান্য প্রচেষ্টা। যদি মানুষের সেবা করার মাধ্যমে তাদের মূখে একটু হাসি ফোটাতে পারি এটাই হবে আমার পাওনা। আমার আর কিছু চাওয়া পাওয়ার নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ত্রাণ সামগ্রী পাওয়া পাথরঘাটা এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, যেখানে সারা বাংলাদেশের সরকারি ত্রাণ চুরি করছে সরকারি ভাবে দায়িত্ব প্রাপ্ত চেয়ারম্যান,মেম্বাররা সহ ত্রাণ কর্মসূচি সংশ্লিষ্ট মানুষের আদলে জন্ম নেয়া জানোয়াদের এক বিশাল অংশ! ঠিক সেখানেই আবার আশফাক আহমেদের মতো মানুষগুলো সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত টাকায় চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের সত্যিকারের সেবা দান কর্মকান্ড। তাও আবার কোন রকম ব্যাক্তিগত প্রচার প্রচারণা ছাড়া। মহান সৃষ্টিকর্তা যেন এইসকল দানবীর মানুষদেরকে কবুল করে আরও বেশী বেশী অসহায়দের পাশে থাকতে পারে মতো তওফীক দান করে এই দোয়াই করি।

ট্যাগ :