এম.এইচ.মুরাদ :
আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচন আগামী বছরের মার্চে অনুষ্ঠিত হওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে মাঠ পর্যায়ের প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে চট্টগ্রাম নির্বাচন অফিস। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নতুন ভোটার তালিকায়। মাঠ পর্যায়ে চলছে ভোট কেন্দ্রের তালিকা তৈরির কাজ। আগামী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে ইভিএমএ এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম মহানগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ১৮ লাখ ৯৩ হাজার ৫৮ জন। তবে চলমান হালনাগাদ ভোটার তালিকায় আরো ৬/৭ লাখের মতো বাড়তে পারে। এই নতুন ভোটাররাও আগামী চসিক নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন বলে জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান নির্বাচিত পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল। নির্বাচিত মেয়র হিসেবে আ জ ম নাছির উদ্দীন ও কাউন্সিলররা শপথ গ্রহণ করেন ঐ বছরের ২৫ জুলাই। পূর্ববর্তী তিনমাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান করার বাধ্যবাধকতা থাকায় বর্তমান মেয়রের নেতৃত্বাধীন পরিষদের মেয়াদ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান একাত্তর বাংলা নিউজকে জানান, ঢাকা দুই সিটির নির্বাচন আগামী বছরের (২০২০) জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে। তবে চসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছরের মার্চেই। তার আগে হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এই সময়কেই নির্ধারণ করে আমরা এগোচ্ছি। ঢাকা দুই সিটির নির্বাচনের তফসিল চলতি মাসের শেষের দিকে ঘোষণা করা হতে পারে বলেও জানান তিনি। পরবর্তীতে চসিক নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।
চসিক নির্বাচনের অফিসিয়াল কোনো প্রস্তুতি শুরু হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, এখন হালনাগাদ ভোটার তালিকার কাজ চলছে। এই নতুন ভোটার তালিকায় আগামী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখন মাঠ পর্যায়ে ভোট কেন্দ্রগুলোর তালিকা তৈরি হচ্ছে। তালিকা তৈরি করে জেলা অফিসে পাঠাবেন থানার অফিসাররা। কমিশন থেকে আমাদের কাছে তালিকা চাইলে আমরা পাঠিয়ে দেব। এ নির্বাচনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে কিছু কেন্দ্র বাড়তে পারে।
স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন অনুযায়ী, পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার ১৮০ দিন আগে যেকোনো সময় ভোট করতে হবে। ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল একসঙ্গে চট্টগ্রাম, ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। চসিক মেয়র ও কাউন্সিলরদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় ২০১৫ সালের ৬ আগস্ট। অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটিতে প্রথম সভা হয় ওই বছরের ১৪ মে এবং দক্ষিণ সিটিতে ১৭ মে। এ হিসেবে চট্টগ্রাম সিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের জুলাইয়ে। ঢাকা উত্তরের ক্ষেত্রে এই মেয়াদ থাকছে ২০২০ সালের ১৩ মে পর্যন্ত আর দক্ষিণে ওই বছরের ১৬ মে পর্যন্ত।
এখন নগরীতে নতুন ভোটার তালিকার যে হালনাগাদের কার্যক্রম চলছে তার খসড়া তালিকা প্রকাশ হবে জানুয়ারির ২ তারিখ। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ৩১ জানুয়ারি।