নিউজ-ডেস্ক:
২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে নগরীতে প্রায় একশটি এসি বাস চালুর উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। বুধবার দুপুরে থিয়েটার ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) পঞ্চম নির্বাচিত পরিষদের ৫২তম সাধারণ সভায় এ কথা জানান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
নগরীর ৩টি প্রধান রুট কালুরঘাট থেকে পতেঙ্গা, লালদিঘী থেকে ভাটিয়ারি এবং নিউমার্কেট থেকে ফতেয়াবাদ রুটে চলাচল করবে এই এসি বাস। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এবং আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপ সার্ভিসের স্টপেজ, টার্মিনাল নির্মাণের সম্ভাব্য স্থান নির্ধারনে কাজ শুরু করেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এসি বাস আমদানির ব্যাপারে এলসি খোলা হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রাথমিকভাবে মহানগরীর ৩টি রুটে ৩ রঙের প্রায় ১’শটি এসি বাস চালু করা হবে। এই বাস সার্ভিস চালু হলে অসহনীয় যানজট, যাত্রী দুর্ভোগ হয়রানি লাঘবসহ গণপরিবহনের আন হেলদি প্রতিযোগিতা কমবে বলে মত প্রকাশ করেছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার তুলনায় এই চট্টগ্রাম মহানগরে গণপরিবহনের অপ্রতুলতা রয়েছে। এতে করে কর্মজীবী যাত্রী সাধারণকে নানামুখী দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আবার গনপরিবহণ সংশ্লিষ্টদের অসচেতনতা, অসম প্রতিযোগিতার কারণে নগরে যানজট, যত্রতত্র পার্কিংসহ বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। আউটসোর্সিং বিনিয়োগের মাধ্যমে এই বাস সার্ভিস চালু করা হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় পর্যায়ক্রমে ২০০ এসি বাস চালু করা হবে। চলতি বছর ডিসেম্বরের মধ্যে বাসগুলো দেশে চলে আসবে।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে মেয়র আ জ ম নাছির বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নগরীর ট্রাফিক সিস্টেম ব্যবস্থাপনায় ম্যানুয়েল সিগন্যাল বাতি চালু থাকলেও তা থেকে কার্যকর ফলাফল আসছে না। এজন্য সিএমপি প্রেরিত ট্রাফিক সিগন্যাল আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পূর্বের সিগন্যাল বাতিগুলো আপাতত ম্যানুয়েলি পদ্ধতিতে চালু করা হবে।
তিনি বলেন, নগরবাসীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণে প্রতি ওয়ার্ডে ১ হাজার মানুষের মাঝে মেয়র হেলথ কার্ড প্রদান করা হবে। আগামী ২৬ নভেম্বর স্ব স্ব ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নিয়ে এই বিষয়ক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হবে।
চসিক সচিব আবু শাহেদ চৌধুরীর পরিচালনায় সভায় বিগত সভার কার্য বিবরণী আলোচনা সাপেক্ষে অনুমোদন সহ জাকির হোসেন হোমিওপ্যাথিক কলেজ কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি সিদ্ধান্ত গ্রহণ, চসিকের ব্যবহৃত গাড়ির ভিকেল ট্র্যাকিং সিস্টেম চালু, হালিশহর গার্ভেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট আধুনিকায়নসহ নানামুখী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আলোচনা করা হয়।
সভায় প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর, সংরক্ষিত কাউন্সিলরসহ বিভাগীয় কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।