হাতিয়া প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালী বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার বয়ারচরের টাংকির ঘাট এলাকায় জলদস্যুদের আস্তানা থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, ৪ রাউন্ড গুলি, ৫টি দেশীয় বগিদাসহ ৩ জলদস্যুকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। শুক্রবার ভোরে অভিযান চালিয়ে এসব জলদস্যুদের আটক করা হয়।
আটক হওয়া তিন জলদস্যু হলেন লক্ষীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের চর দরবেশ গ্রামের মৃত মো: শাহ আলমের ছেলে মো: আব্দুর রব (৫৫), অন্য দুইজন হলেন একই এলাকার আব্দুর রহিম (৩০) ও মো: রবিন (২৪)।
কোস্টগার্ড জানায়, জলদস্যুরা নদীতে ডাকাতি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে এই সংবাদ পেয়ে ভোর রাতে অভিযান চালায় কোস্টগার্ডের একটি টিম। কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে জলদস্যুরা গুলি ছুড়লে কোস্টগার্ডও পাল্টা গুলি ছুড়ে। এ সময় জলদস্যুরা পালিয়ে যাওয়ার সময় তিন জলদস্যুকে আটক করা হয়। পরে জলদস্যুদের আস্তানা থেকে একটি পিস্তল, দুটি বন্দুক, ৪ রাউন্ড গুলি, ৪টি পাইরোটেকনিক (সাউন্ড গেনেট) ও ৫টি দেশীয় রামদা উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, আব্দর রব দীর্ঘদিন থেকে নদীতে ডাকাতি করে আসছে। তার বাড়ী হাতিয়া উপজেলার পার্শ্ববর্তী রামগতি উপজেলায়। সে হাতিয়ার সীমানা এলাকা টাংকির ঘাটে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে বিভিন্ন অনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। আব্দুর রবের বিরুদ্ধে হাতিয়া থানাসহ পার্শ্ববর্তী অন্যান্য থানায় বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
স্টেশন কমান্ডার লে. এ এস এম লুৎফর রহমান একাত্তর বাংলা নিউজকে বলেন, আটক জলদস্যুদের অস্ত্রসহ হাতিয়া থানায় সোপার্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কোস্টগার্ড বাদী হয়ে মামলা করা হবে।