স্টাফ রিপোর্টার:
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকার ১২ বাহিনীর ৫০ জলদস্যু অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ আত্মসমর্পণ করেছে। এদের মধ্যে একজন নারী এবং তিনজন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত জলদস্যু।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুর ১টার দিকে নগরের পতেঙ্গা র্যাব-৭ এর এলিট হলে জলদস্যু আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ করেন তারা। এসময় জলদস্যুদের ১১ জন অস্ত্র, গুলি ও বিভিন্ন সরঞ্জাম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
এসময় র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মো. শরীফ-উল-আলম জানান, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় অঞ্চলের ১২টি বাহিনীর মোট ৫০ জন জলদস্যু শর্তহীনভাবে আত্মসমর্পণ করেছে। তাদের মধ্যে ৪৯ জন পুরুষ এবং ১ জন মহিলা। এছাড়া ৩ জন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত জলদস্যু।
তিনি জানান, জলদস্যুরা ৩৫টি একনলা বন্দুক, ১৮টি এসবিবিএল, ১৭টি ওয়ান শুটার গান, ১টি দুইনলা বন্দুক, ১টি পিস্তল, ১টি রিভলভার, ৩টি বিদেশি পিস্তল, ১টি এসএমজি ও ২টি এয়ারগানসহ মোট ৯০টি অস্ত্র ও চারটি ওয়াকিটকি জমা দিয়েছে। এছাড়া গুলি ও কার্তুজ জমা দিয়েছে ২৮৩ রাউন্ড।
তিনি আরও জানান, বাঁশখালী, চকরিয়া, পেকুয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া অঞ্চলসহ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ৩৪২ জন কুখ্যাত জলদস্যু এবং অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে আটক করেছে র্যাব। এছাড়া দেশি-বিদেশি মিলিয়ে সর্বমোট ২ হাজার ৬০৩টি অস্ত্রসহ ২৯ হাজার ১২৩ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন র্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) নুরে আলম মিনা, র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো. মাহবুব আলম, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় ও সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ।