এম.এইচ মুরাদঃ
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় বিএম কন্টেনার ডিপোর পরিচালক মুজিবুর রহমান বলেছেন, হতাহতদের সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে। তারা নিয়মিত বেতন পাবেন। তাদের পরিবারের দায়িত্বও আমাদের। সকল কর্মীই আমাদের পরিবারের সদস্য হিসেবে যতটুকু করা দরকার তার সবটুকুই করা হবে।
তিনি বলেন, ‘কি কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে কেমিক্যালের কন্টেনার থেকেই আগুন ধরেছে বলে ধারণা করছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘নৈতিকতা ও মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সারাজীবন হতাহতদের পাশে থাকব। যারা মারা গেছেন তাদের পরিবার সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ পাবেন, প্রয়োজনে দ্বিগুণ ক্ষতিপূরণ দেবো। যারা মারা গেছেন তাদের পরিবার নিয়মিত বেতন পাবে। এককালীন ক্ষতিপূরণ দেবো।’
তিনি বলেন, যদিও যারা আহত বা নিহত হয়েছেন তাদেরকে শুধুমাত্র ক্ষতিপূরণ দিয়ে জীবনের মূল্য দেয়া সম্ভব নয় কিন্তু সবাই এটা বিশ্বাস করুন আমরা কখনও কল্পনাও করিনি এরকম একটা ভয়াবহ ঘটনা ঘটবে। আমরা আগুন নিভানোর জন্য ডিপোতে যথেষ্ট পরিমাণ ব্যবস্থা রেখেছিলাম। আগুনের ভয়াভহতার কারণে এটি কার্যকর হয়নি। এই মূহুর্তে আমরা বলতে চাই আহতদের জন্য উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। তারাও এককালীন অর্থ সহায়তার পাশাপাশি নিয়মিত বেতন পাবেন। চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয়ভার আমরা বহন করবো। এছাড়া প্রশাসন যেভাবে সিদ্ধান্ত দিবে সেভাবেই সহায়তা করা হবে। তিনি দুর্ঘটনার ব্যাপারটিকে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করে সকলকে পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় ৪ শতাধিক দগ্ধ ও আহত হয়েছেন। তবে আহতদের মধ্যে ৪০-৫০ জনের অবস্থা গুরুতর। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের সহকারী পরিচালক রাজীব পালিত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার রাত ১০টার দিকে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর এলাকায় অবস্থিত বিএম কন্টেইনার ডিপোতে (সাবেক কাশেম জুট মিল) লোডিং পয়ন্টের ভেতরে আগুন লাগে। প্রথমে কুমিরা ও সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে রাত পৌনে ১১টার দিকে এক কনটেইনার থেকে অন্য কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। হঠাৎ একটি কনটেইনারে রাসায়নিক থাকায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পুলিশের সদস্য, ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও শ্রমিকসহ ৪ শতাধিক মানুষ দগ্ধ ও আহত হন।