স্টাফ রিপোর্টারঃ
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) স্থগিত হওয়া নির্বাচন কবে হবে সেই ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি নির্বাচন কমিশন। যদিও চসিকের চলতি মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৫ আগস্ট। এরপর কি হবে সেই বিষয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। নিয়ম অনু্যায়ী ৬ আগস্টের মধ্যে নির্বাচন করতে না পারলে বর্তমান মেয়রসহ নির্বাচিত পরিষদ দায়িত্ব পালন করবেন নাকি প্রশাসক নিয়োগ দেবেন- সেই সিদ্ধান্ত নেবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর গণমাধ্যমে জানান, চট্টগ্রামের ভোটের বিষয়ে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা নেই। এটা স্থানীয় সরকারের বিষয়। এটা নিয়ে পরে আলোচনা হবে। উপযুক্ত সময় বুঝে চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হবে। চসিকের চলতি মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে নতুন পরিষদ নির্বাচনের আপাত কোন সম্ভাবনা বলতে গেলে নেই। এক্ষেত্রে বর্তমান পরিষদই বহাল থাকতে পারে বলে জানিয়েছে ইসি সূত্র। অথবা স্থানীয় সরকার আইন ২০০৯ অনুযায়ী প্রশাসক দিয়েই সমস্যা সমাধানের কথা ভাবছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। করোনা পরিস্থিতে স্থগিত বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনের উপনির্বাচন ১৪ জুলাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ১৮০ দিনের মধ্যে উপ নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে স্বাস্থ্য বিধি মেনে সেখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল বিকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে কমিশন সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে ২৯ মার্চ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে চসিক নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। পরে করোনা পরিস্থিতির কারণে বগুড়া ১ ও যশোর ৬ আসনের উপনির্বাচনের সাথে চসিক নির্বাচনও স্থগিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তবে চসিকের নির্বাচন নিয়ে এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছুতে পারেনি ইসি। এবার স্থগিত হওয়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের এম রেজাউল করিম চৌধুরী, বিএনপির শাহাদাত হোসেন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন, পিপলস পার্টির আবুল মনজুর, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম। নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে ২৬৯ জন প্রার্থী রয়েছেন। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করেছিল ইসি। সে নির্বাচনে মেয়র পদে জয়ী হয়ে ২০১৫ সালের ৫ মে শপথ নেন আ জ ম নাছির উদ্দিন।