স্টাফ রিপোর্টারঃ
সিআরবি রক্ষায় আমরণ অনশনের ঘোষণা দিলেন বিশিষ্ট সমাজ বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. অনুপম সেন। বুধবার (২৮ জুলাই) নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রামের কমিটি ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম শহর আজ পরিণত হয়েছে “ইটের পরে ইট” বিশিষ্ট একটি নগরীতে। বর্তমানে প্রকৃতির অসীম দানে-ঋদ্ধ সিঅঅরবির মতো এরকম বড় উন্মুক্ত স্থান চট্টগ্রামে আর নেই। শতবর্ষী বৃক্ষরাজি পাহাড়, টিলা ও উপত্যকায় ঘেরা বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যমণ্ডিত অনন্য প্রাকৃতিক স্থান সিআরবি ধ্বংসের পাঁয়তারা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। সিআরবি থেকে এই বেনিয়া গোষ্ঠীকে তাড়াতে প্রয়োজনে দিনের পর দিন অনশন করতেও প্রস্তুত আমি।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান, মহানগর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ, চট্টগ্রামের সভাপতি ডাঃ এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মফিজুর রহমান, বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইউনুস, কবি, সাংবাদিক, প্রাবন্ধিক কামরুল হাসান বাদল, চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমির পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাট্যজন সাইফুল ইসলাম বাবু, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কবি ও সাংবাদিক শুকলাল দাশ, সাংবাদিক আলীউর রহমান, সংস্কৃতিক সংগঠক স্বপন মজুমদার, আবৃত্তিশিল্পী রাশেদ হাসান, রাজনীতিবিদ ও পরিবেশ সংগঠক শরীফ চৌহান, বিএফইউজে’র যুগ্ম মহাসচিব সাংবাদিক মহসীন কাজী ও আবৃত্তি শিল্পী প্রনব চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কবি ও সাংবাদিক ঋত্বিক নয়ন। সভায় বক্তারা বলেন, সিআরবি রক্ষা আমাদের প্রাণের দাবি। আমরা এ কমিটি করার একটাই উদ্দেশ্য সিআরবি রক্ষার আন্দোলনকে বেগবান করার পাশাপাশি একমুখী করা। কারণ চট্টগ্রামের সংবেদনশীল একজন মানুষও খুঁজে পাওয়া যাবে না যিনি সিআরবি রক্ষার এ আন্দোলনকে সমর্থন করেন না। আমরা চাই আন্দোলনটা বিক্ষিপ্ত ভাবে না হয়ে, ছড়িয়ে ছিটিয়ে না করে জোটবদ্ধ ভাবে হোক। সে লক্ষ্যেই এ কমিটি গঠন। যারাই আন্দোলনের সাথে যুক্ত আছেন, তিনি হোন ব্যক্তি কিংবা কোন সংগঠনের প্রতিনিধি, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের প্রতিটি মানুষই এ সংগঠনের সদস্য হিসেবে বিবেচিত হবেন।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সমাজবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. অনুপম সেনকে চেয়ারম্যান এবং এডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন বাবুলকে সদস্য সচিব করে ১০০১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠিত হয়। কমিটির কোচেয়ারম্যান হিসেবে আছেন, শহীদ জায়া বেগম মুশতারী শফি, কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন, মানবাধিকার কর্মী এডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক মাহফুজুর রহমান, অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম, রাজনীতিবিদ খোরশেদ আলম সুজন, সাংস্কৃতিক সংগঠক ও রাজনীতিবিদ মফিজুর রহমান, পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. ইদ্রীস আলী, ইঞ্জিনিয়ারস ইন্সটিটিউশনের চেয়ারম্যান প্রবীর কুমার সেন, স্থপতি আশিক ইমরান, মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুচ, রাজনীতিক মাজহারুল হক শাহ, প্রমুখ। যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে আছেন কবি ও সাংবাদিক কামরুল হাসান বাদল, নাট্যজন সাইফুল আলম বাবু, আবৃত্তি শিল্পী রাশেদ হাসান, সাংবাদিক মহসীন কাজী, সংগঠক শরীফ চৌহান, সংগঠক স্বপন মজুমদার প্রমুখ। কার্যকরী সদস্য হিসেবে আছেন, এডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, এডভোকেট এ এইচ এম জিয়াউদ্দিন, সাংবাদিক হাসান আকবর, সাংবাদিক তপন চক্রবর্ত্তী, সাংবাদিক আসিফ সিরাজ, সাংবাদিক চৌধুরী ফরিদ, কবি ও সাংবাদিক নাজিমুদ্দিন শ্যামল, সাংবাদিক শুকলাল দাশ, শিক্ষক নেতা ও আবৃত্তি শিল্পী অঞ্চল চৌধুরী, সংস্কৃতি সংগঠক সুনীল ধর, সংস্কৃতি সংগঠক অধ্যাপিকা শীলা দাশগুপ্তা, সাংবাদিক আলীউর রহমান, আবৃত্তি শিল্পী প্রনব চৌধুরী, সাংবাদিক ঋত্বিক নয়ন, শিল্পী আলাউদ্দিন তাহের, দীপেন চৌধুরী, সুজিত চক্রবর্ত্তী, রাজনীতিক হাসান মনসুর, রাজনীতিক মিঠুল দাশগুপ্ত, সাংবাদিক রমেন দাশগুপ্ত, সাংবাদিক মহরম হোসাইন, সাংবাদিক আসমা বীথি, সাংবাদিক মিঠুন চৌধুরী, সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম মুন্না, সাংবাদিক পার্থ প্রতীম বিশ্বাস, টিটু দত্ত, রাহুল দত্ত, কবি আ ফ ম মোদাচ্ছের আলী, সাংবাদিক মিনহাজ উদ্দিন, সাবেক ছাত্র নেতা শিবু প্রসাদ চৌধুরী, হাবিবুর রহমান তারেক, নূরুল আজম রনি, এডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন জিকু, সাংবাদিক সুজিত সাহা, সাইদুল ইসলাম, রাহুল দাশ নয়ন, সুবল বড়–য়া, উমর ফারুক, নারী নেত্রী হাসিনা আক্তার টুনু, জেসমিন সুলতানা পারু, সাহেলা আবেদীন লিমা, আবৃত্তিকার মিলি চৌধুরী, সাবের শাহ, দিলরুবা খানম, সালাউদ্দিন শামীম, শফিউল আজম জিফু, শাহরিয়ার মুনির জিসান, শাহাবুদ্দিন, নইমুল আবেদীন, মাহমুদুল করিম, সংস্কৃতি সংগঠক অহিদ সিরাজ স্বপন, নজরুল ইসলাম জয়, যন্ত্র শিল্পী প্রবীর দত্ত সাজু, অসীম বরণ চন্দ, চারু শিল্পী বিজন মজুমদার, দীপক দত্ত, শ্রীকান্ত আচার্য, চলচ্চিত্র সংগঠক শৈবাল চৌধুরী প্রমুখ।