মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সামান্য বৃষ্টিতে আবারও হাঁটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে গেল চট্টগ্রাম


প্রকাশের সময় :২১ মে, ২০২২ ৮:৫৮ : পূর্বাহ্ণ

এম.এইচ মুরাদঃ

মাত্র ৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকা হাঁটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে। সড়কের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকার বাসা-দোকানেও ঢুকে পড়েছে পানি। নালা আটকে থাকায় বিভিন্ন উঁচু এলাকার সড়কেও পানি জমতে দেখা গেছে। বর্ষার আগেই অনিয়মিত এই বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতায় মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েছেন নগরের বিভিন্ন এলাকার মানুষ।

শনিবার (২১ মে) ভোর থেকেই চট্টগ্রামের আকাশ ছিল মেঘলা। সকাল ছয়টার পর থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়তে শুরু করে। আর সাড়ে আটটা দিকে শুরু হয় দমকা হাওয়াসহ ভারী বৃষ্টিপাত।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পূর্বাভাস কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী জানান, ‘বর্ষার আগে প্রি মুন সুনের কারণেই এই অনিয়মিত বৃষ্টি হচ্ছে। সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। পরবর্তীতে সকাল ৯টা দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। অর্থাৎ সকাল ৬টা থেকে ১২টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে ৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ভারী বৃষ্টির আগে ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যায়। আগামীকালও এমন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।’

এদিকে, মেঘের ঘনঘটায় ভোর থেকে শুরু হয় হালকা বৃষ্টি। সকাল নয়টার পর যা ধীরে ধীরে মুষলধারে রূপ নেয়। ঘন্টাব্যাপী ভারি বর্ষণের পর বিরতি নেয় মেঘপুঞ্জের দল। কোনো সতর্কতা সংকেত না থাকলেও দিনভর চট্টগ্রামে মেঘলা থেকে মেঘাচ্ছন্ন আকাশের দেখা মিলবে। বিকেলে থেমে সন্ধ্যার পর ফের দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি আকারের বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনার কথা বলেছে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস। সেইসঙ্গে জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত এমন অনিয়মিত বৃষ্টির দেখা মিলবে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

ছোট-বড় নালাগুলোর আবর্জনা অপসারণ না করায় সামান্য বৃষ্টিতেও এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ নগরবাসীর। সেইসঙ্গে বৃষ্টিতে দুই নম্বর গেইট থেকে মুরাদপুরের দিকে সড়কের দুইপাশ এবং জিইসি মোড়ের দিকে সড়কের বড় অংশ পানিতে তলিয়ে যায়। বাকলিয়া ওয়ার্ডের ধুনির পুল এলাকা থেকে ডিসি রোড এলাকাও তলিয়ে গেছে হাঁটু থেকে কোমড় পানি পর্যন্ত। এছাড়াও ওয়ারল্যাস গেইট এলাকায়ও নালা উপচে হাঁটু পানি জমে থাকতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে, হাঁটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে নগরের প্রবর্তক মোড় এলাকা। শুলকবহর, কাতালগঞ্জ এলাকায় বিভিন্ন অলিগলিতেও হাঁটু পানি মাড়িয়ে পথ চলতে দেখা গেছে সেখানকার বাসিন্দাদের। এছাড়া বহদ্দারহাট, বাদুরতলা, চকবাজার, কাপাসগোলা, পশ্চিম বাকলিয়া এলাকায় জলাবদ্ধতার পাশাপাশি জামালখান, বাগমনিরাম, আন্দরকিল্লা, শুলকবহর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায়ও জলাবদ্ধতার খবর পাওয়া গেছে।

ডিসি রোড এলাকার বাসিন্দা ব্যাংকার সজিব দে বলেন, ‘সকালে হুট করে বৃষ্টি শুরু হওয়াতে বাসা থেকে বের হতে পারছিলাম না। বৃষ্টির গতি একটু কমতেই যেই না বের হলাম দেখি রাস্তায় হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত পানি। কাজে না গিয়ে আমাকে আবার বাসায় ফিরে আসতে হয়েছে। এই বৃষ্টিতেই যদি এত জলাবদ্ধতা হয়, তাহলে সামনের বর্ষার দিনগুলোতে আমাদের কপালে যে কি আছে বুঝতে পারছি না।’

মুরাদপুর এলাকায় হাঁটুপানি মাড়িয়ে খুলশী এলাকায় আসা পলাশ চৌধুরী বলেন, ‘সকালের বৃষ্টিতে রাস্তায় অনেক যানজট ছিল। জলাবদ্ধতার কাজ করায় বাঁধগুলো বন্ধ করা আছে। যার কারণে একটু বৃষ্টি হলেই আমাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। শুধু যে মুরাদপুরে পানি উঠে তা না। আশেপাশের অনেক নিচু এলাকার নালার পানি ভর্তি সেগুলো গড়িয়ে আবার রাস্তায় আসছে।’

এ বিষয়ে জানতে জলাবদ্ধতা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ও কাউন্সিলর মোবারক আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, চলতি মাসে প্রি মুন সুন ও ঘূর্ণিঝড় অশনির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে কয়েকদফায় ঘণ্টাখানেকের বৃষ্টিতেই চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছিল।

ট্যাগ :