মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সানমার প্রোপার্টিজের প্রতারণা! খুলশীতে ৬ তলার অনুমোদন নিয়ে ১২ তলা নির্মাণ, ঝুঁকিতে পুরো ভবন


প্রকাশের সময় :২৪ জুন, ২০২১ ২:১১ : অপরাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

চট্টগ্রাম নগরীর খুলশীতে ৬ তলার অনুমোদন নিয়ে ‘সানমার গ্র্যান্ডি’ নামক ১২ তলা ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে সানমার প্রোপ্রার্টিজ নামীয় একটি আবাসন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।

পাহাড়ের টিলায় অবস্থিত এ ভবনের কারণে ঝুঁকিতে পড়েছেন চট্টগ্রাম নগরীর উত্তর খুলশীর আশপাশের বাসিন্দারা। এ বিষয়ে গত ৮ জুন মঙ্গলবার সিডিএর স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হলে বিষয়টি আমলে নেয় আদালত।

নির্মাণাধীন ভবনের প্রতিবেশী মো. শাহাবুদ্দীন আলম স্থানীয় এলাকাবাসীদের পক্ষে সিডিএ আদালতে পিটিশন মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় বিবাদীরা হলেন- সানমার প্রোপার্টিজ লিমিটেডের পক্ষে চেয়ারম্যান, একই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম মাসুক হক, প্রজেক্ট ম্যানেজার সেলিম বিন সালেহ, প্রজেক্ট ডিরেক্টর সফিকুর রহমান ও ম্যানেজার (অ্যাডমিন) মো. মাইনুল হক। বিচারক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বিবাদীদের প্ল্যান অনুমোদনের ডকুমেন্টসসহ আদালতে হাজির হওয়ার আদেশ দিয়েছেন।

মামলা সূত্র জানায়, নগরীর উত্তর খুলশী থানাধীন ইম্পেরিয়াল হিলের ১০৯/সি নং প্লটে ১২ তলা ভবনের নির্মাণকাজ করছে সানমার প্রোপার্টিজ লিমিটেড নামক একটি আবাসন প্রতিষ্ঠান। এটি উত্তর খুলশী আবাসিক এলাকার থানার রোডের ৪ নম্বর রোডে অবস্থিত। মামলায় উল্লেখ করা হয়, ১০-১২ ফুট প্রশস্ত রাস্তায় ৬ তলা ভবনের বেশি চউক থেকে অনুমোদন দেয়া হয় না। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অগোচরে ১২ তলা ভবন নির্মাণ করছে প্রতিষ্ঠানটি। পাহাড়ের ঢালু জায়গার উপরের অংশে বহুতল ভবন নির্মাণ করায় পাহাড় ধস, ভূমিকম্পসহ যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে আশপাশের অন্তত ১২টি প্লটের মালিক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি এসব অননুমোদিত ফ্ল্যাট বিক্রি করলে এক সময় মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বেন ক্রেতারা।

এ প্রসঙ্গে মামলার বাদী মো. শাহাবুদ্দীন আলমের পক্ষে আমমোক্তার ও প্রতিনিধি সৈয়দ রাফিদুল আলম একাত্তর বাংলা নিউজকে বলেন, সিডিএর আইন ও গৃহ নির্মাণ আইন ভঙ্গ করে ৬০ থেকে ৭০ ফুুট মাটি কেটে তারা এ ভবন নির্মাণ করছে। সিডিএকে বিভিন্ন সময় এ বিষয়ে অভিযোগ দিলেও তাতে কোনো রিপ্লাই পাইনি, তাই নিরুপায় হয়ে মামলা করেছি।

এ ব্য‍াপারে জানতে স্যানমার প্রোপ্রার্টিজ লিমিটেডের সিনিয়র ম্যানেজার (অ্যাডমিন) মো. মাইনুল হকের মোবাইলে বারবার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি এবং রিপোর্টার পরিচয়ে বার্তা দিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ইয়াসিন আরাফাত সাজ্জাদ বলেন, সামনের দিকে ৬ তলা করলেও পেছনের দিকে ১২ তলা নির্মাণ করছে একটি আবাসন প্রতিষ্ঠান। এতে ইমারত নির্মাণ আইন ১৯৫২-এর ১২ ধারা এবং সিডিএ আইন ২০১৮ সালের ৪৪ ধারা লঙ্ঘন করা হয়েছে।

ভবন নির্মাণে কোনো অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, ভবন নির্মাণ করতে হলে তিন ফুট জায়গা ক্লিয়ার রাখতে হবে। কিন্তু সে পুরো জায়গাটা নিয়ে ফেলছে। তারপর তলা বাড়িয়েছে, সবকিছুর জন্য আমরা তাকে উচ্ছেদ করার পরিকল্পনা নিয়েছি।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর চউকে অভিযোগ দেন মো. শাহাবুদ্দীন আলম। ওই অভিযোগের পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি চউক। পরে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় গত ২৯ এপ্রিল খুলশী থানায় একটি জিডিও করেন তিনি।

ট্যাগ :