মোঃ সেলিম (সাতকানিয়া প্রতিনিধি):
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের গারাংগিয়া মাদ্রাসা এলাকার কতোয়াল দিঘির পাড় এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ যুবলীগ কর্মী মোসাদ্দেকুর রহমান হত্যামামলার প্রধান আসামী মাদক সম্রাট মো. সোহেল বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৬ জুন) দিবাগত রাত সোয়া ৪টার দিকে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ এই ঘটনা ঘটেছে। এতে সাতকানিয়া থানার ৫ পুলিশ আহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল মাদকসেবীদের আস্তানা থেকে বিভিন্ন অস্ত্র, ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে।
সাতকানিয়া থানা সূত্রে জানা যায়, মধ্যরাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাকদ ব্যবসায়ী আবদুল হান্নান ওরফে সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার পরবর্তী তার স্বীকারোক্তিমতে মোসাদ্দেক হত্যার কাজে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধারে দক্ষিন রূপকানিয়া গাজীর পাড়া কতোয়াল দিঘির পূর্ব উত্তর পাড়ে গেলে ওখানে পূর্ব থেকে একদল লোক ইয়াবা সেবন এবং তাস খেলতেছিল। তারা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়া শুরু করে।
আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি করে। এসময় আসামী ইয়াবা ব্যবসায়ী সোহেল দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশের পাল্টা গুলিতে সোহেল ঘটনাস্থলে নিহত হন। এ সময় উভয় পক্ষেওে গোলোগুলিতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।
উল্লেখ্য, গত ২২ জুন সোমবার উপজেলার সদর ইউনিয়নে মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলে মাদক ব্যবসায়ী আবদুল হান্নান ওরফে সোহেলের ছুরিকাঘাতে সদও ইউনিয়ন মাদক নির্মূল কমিটির আহ্বায়ক মোসাদ্দেকুর রহমান নিহত হন এবং তার আরেক সহোদও মো. ফয়সাল গুরুতর আহতাবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
বন্দুকযুদ্ধে নিহত মাদক ব্যবসায়ী আব্দুল হান্নান ওরফে সোহেল সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের বারদোনা আদর্শ পাড়া এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
সাতাকানিয়া সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নেজাম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সোহেল গ্রেফতারের হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধারের ঘটনাস্থলে অন্য একদল লোক ইয়াবা সেবনকারী ও জুঁয়াড়িদের সাথে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধ হয় এ সময় পুলিশের পাল্টা গুলিতে সোহেল মারা যান বলে সাতকানিয়া থানার ওসি আমাকে জানিয়েছেন।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সফিউল কবীর গনমাধ্যমকে জানান, ‘রাত ১টা ৪৫ মিনিটে সাতকানিয়া সদরে দক্ষিণ রূপকানিয়ার গাজীপাড়ার কুতুবুর দীঘির পাড় এলাকায় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি চালায়।
আত্মরক্ষার্থে এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পুলিশের প্রতিরোধের মুখে মাদক ব্যবসায়ী সোহেলের সঙ্গীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ একজনের লাশ পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে জানান ওসি।