মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪ ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকারি ত্রাণ নিজের নামে বরাদ্দ চেয়ে আলোচনায় সাতকানিয়ার এমপি নদভী


প্রকাশের সময় :৩০ এপ্রিল, ২০২০ ৫:১৮ : অপরাহ্ণ

মোঃ সেলিমঃ

করোনভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে উপজেলা পর্যায়ে সরকারিভাবে বরাদ্দ ত্রাণের ২৫ শতাংশ নিজের অনুকূলে চেয়ে আলোচনায় এসেছেন চট্টগ্রামের সরকার দলীয় একজন সংসদ সদস্য। তিনি হলেন চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের সংসদ সদস্য ড. আবু রেজা মুহম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী।

বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) সংসদ সদস্য নদভী চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে দুটি পৃথক চিঠিতে তার নামে ২৫ শতাংশ ত্রাণ বরাদ্দের নির্দেশনা দিয়েছেন। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক সাংসদের ‘এখতিয়ারবর্হিভূত’ এই নির্দেশনার চিঠি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন।

চিঠিতে সংসদ সদস্য সরকারিভাবে বরাদ্দ ত্রাণের ১৫ শতাংশ উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের অনুকূলে এবং ৬০ শতাংশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের অনুকূলে বরাদ্দের নির্দেশনা দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মধ্যেও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।

একটি পৌরসভা ও ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত সাতকানিয়া উপজেলা। এর মধ্যে ৬টি ইউনিয়ন ছাড়া বাকি সবই নদভীর আসনের অন্তর্ভুক্ত। আর লোহাগাড়া উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পড়েছে সংসদ সদস্য নদভীর আসনে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে সরকারিভাবে বরাদ্দ ত্রাণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ থেকে জনসংখ্যার অনুপাতে বণ্টন হয়ে যাচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের কাছে। নিয়ম আছে, ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানদের সঙ্গে পরামর্শ করা হবে। সংসদ সদস্য শুধুমাত্র বিষয়টি তদারক করতে পারেন।

সাতকানিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ মোতালেব বলেন, ‘এমপি সাহেব ইউএনওদের যে চিঠি দিয়েছেন, সেটি উনি কোন এখতিয়ার বলে দিয়েছেন, আমরা জানি না। উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানদের নামেও ১৫ শতাংশ ত্রাণ চেয়েছেন। আমরা তো উনাকে এ ধরনের কোনো দায়িত্ব দিইনি। উনিও তো আমাদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ করেননি। এটি ওনার ব্যক্তিগত বিষয়।’

২৫ শতাংশ ত্রাণ বরাদ্দ চেয়ে দেওয়া চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে এমপি নদভী বলেন, ‘আমি তো আমার বাসায় নেওয়ার জন্য ত্রাণ চাইনি। মানুষকে দেওয়ার জন্য চেয়েছি। উপজেলার সমন্বয় কমিটিতে সংসদ সদস্য প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আমার উপজেলাগুলোতে সঠিকভাবে ত্রাণ বিতরণ হচ্ছে কি না, সেটা দেখার এখতিয়ার আমার আছে। সেখানে কীভাবে ত্রাণ বিতরণ হবে, সেটিও আমি দেখব। ব্যক্তিগত পকেটে নেওয়ার জন্য আমি ত্রাণ বরাদ্দ বিভাজনের কথা বলিনি।’

জানতে চাইলে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘মাননীয় এমপি মহোদয় যে চিঠিটা দিয়েছেন এটি ওনার সম্পূর্ণ এখতিয়ার বহির্ভূত। ত্রাণ যাবে ইউএনও’র কাছে। ইউএনও সেটি উপজেলার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমন্বয় করে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মধ্যে বণ্টন করবেন। এমপির নামে ত্রাণ বরাদ্দের কোনো সুযোগ নেই। আমরা এমপি সাহেবের চিঠি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠাব। সেখান থেকে যে সিদ্ধান্ত আসে, সেভাবে কাজ করব।’

ট্যাগ :