মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সবজির বাজার চড়া! ক্ষোভ প্রকাশ ক্রেতা সাধারণের


প্রকাশের সময় :১০ অক্টোবর, ২০২০ ৪:৩১ : অপরাহ্ণ

এম.এইচ মুরাদ:

লাগামহীনভাবে বেড়েই চলেছে সবজির দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, তিন কারণে (বাজারে সরবরাহ কম, বন‌্যা-বৃষ্টি, করোনা) অধিকাংশ সবজির দাম বেড়েছে। এদিকে, নিত‌্যপণ‌্যের দাম বাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতা সাধারণ।

পাইকারি কাচাঁমাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে অতি বৃষ্টি ও বন্যার কারণে সবজির সরবরাহ কমেছে। কৃষকদের কাছ থেকে বাড়তি দাম দিয়ে সবজি কিনতে হচ্ছে। যে কারণে খুচরা বিক্রেতাদের কাছেও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে সবজি।

শনিবার (১০ অক্টোবর) বন্দরনগরী চট্টগ্রামের বিভিন্ন  কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৬০-৭০ টাকার নিচে কোনো সবজিই নেই। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেগুনের দাম কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা, বরবটি ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি, গাঁজর ১০ টাকা বেড়ে ৯০ টাকা। তবে সিমের দাম কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৪০ টাকা কমে প্রতি কেজি সিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা।

এছাড়া কেজিতে ১০ টাকা দাম বেড়ে প্রতি কেজি দেশি শসা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, হাইব্রিড শসা ৭০ টাকা, করলা ১০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকা, উস্তা ৭০ টাকা, মানভেদে ঝিঙা-ধন্দুল ১০ টাকা বেড়ে ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, কাঁকরোল আকারভেদে ৮০ থেকে ৯০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, আলু ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, কচুর লতি ৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা।

প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা বেড়ে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, প্রতি হালি কাঁচকলা ৪০ টাকা, প্রতি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা, লাউ ৭০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। প্রতি আঁটি লাউ শাক বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকায়, পুঁইশাক ৩০ টাকা, কচুর শাক ১৫ টাকা, লাল শাক ২০ টাকা, শাপলা ১৫ টাকা এবং কলমি শাক ১৫ টাকা প্রতি আঁটিতে।

প্রতি কেজি রুই মাছ ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে আকারভেদে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, পাঙাস ২০০ টাকা, কাতল ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ টাকা, কৈ ২৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, দেশি চিংড়ি আকারভেদে ৩০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি।

এছাড়া এক কেজি থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা, এক কেজির নিচের ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা, প্রতি ৭৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশে ৬০০ টাকা কেজি দরে, প্রতি ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, ছোট ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি।

হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৮০-১৯০ টাকা ডজন, লেয়ার মুরগির ডিম ১১৫ টাকা ডজন, দেশি মুরগির ডিম ১৫০ টাকা ডজন বিক্রি হচ্ছে। আর গরুর মাংস ৬০০ টাকা এবং খাসির মাংস বিক্রি হয় ৯০০ টাকা কেজি দরে। ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ১৩৫ টাকা, দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সকালে বাজার করতে আসা মো: খলিলুর রহমান একাত্তর বাংলা নিউজকে বলেন, বাজারে এসেই দেখি সবজির দাম চড়া। এভাবে হলে কীভাবে আমরা চলবো? সবজির থেকে মাছ মাংসের দাম কম। বাজার মনিটরিং কার্যকরভাবে করতে হবে। তা না হলে আমাদের মত মানুষদের ভাতের সাথে লবন-পানি ছাড়া আর কিছু জোটবে না।

পাইকারি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রহিম খান বলেন, গত কয়েকদিন ঘরেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। যে কারণে সবজির সরবরাহ আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। এজন্য দাম বেড়েছে।

প্রতিদিনই কাঁচামাল নিয়ে বন্দরনগরীতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ট্রাক আসছে। সরবরাহ তাহলে কম কিভাবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা ভুল। সরবরাহ কমেছে, কিন্তু চাহিদা আগের মতোই আছে। তাই চাহিদা অনুযায়ী সবজি না থাকার কারণে দাম একটু বেশি বাজারে। সামনে শীতকাল, সবজির আগাম চালান আসলে সবজির বাজার স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’

ট্যাগ :