স্টাফ রিপোর্টার:
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন,‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আজকে দেশ বদলে গেছে। প্রত্যেকটি ইউনিয়নে কয়েক হাজার মানুষ সরকারের নানা সামাজিক কর্মসূচির উপকারভোগী। গ্রামের প্রত্যেকটি ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। শুধু মূল সড়ক নয়, এখন মানুষের ঘরে ঢোকার রাস্তাও পাকা হয়েছে। গ্রামেগঞ্জে, হাটে-ঘাটে মাঠে সাধারণ মানুষের কাছে সরকারের এসব উন্নয়নের কথা তুলে ধরতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বিকালে নিজ নির্বাচনি এলাকা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় পৌরসভাসহ ছয়টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৃণমূলের প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন,‘তৃণমূলের নেতারাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রাণ। দলের রক্ত সঞ্চালন করেন আপনারাই। গ্রামেগঞ্জে মহল্লায় আমাদের দলকে আপনারাই ধরে রেখেছেন দীর্ঘদিন ধরে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আপনাদের মাধ্যমেই আজকে যুগ যুগ ধরে দল ঠিকে আছে।’
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গত ১৪ বছরে রাঙ্গুনিয়াসহ সারা দেশে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। ২০০৯ সালে যখন আমি প্রথম এমপি নির্বাচিত হই তখন আমার বাড়িতেও বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না। আজকে প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। রাঙ্গুনিয়ার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতে সারাদিন লেগে যেত, এখন এক ঘণ্টায় যাতায়াত করা যায়। এখন শুধু মূল সড়ক নয়, প্রত্যেকটা বাড়ি ঘরে ঢোকার রাস্তাও পাকা করা হয়েছে। এসব উন্নয়ন আগে যারা রাঙ্গুনিয়া থেকে ভোট নিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন তারা করেননি। এসব উন্নয়নের কথা গ্রামেগঞ্জে হাট বাজারে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘করোনা-বন্যাসহ কোনও দুর্যোগে বিএনপিকে দেখা যায়নি। তারা কারও দরজায় এক মুঠো চাল নিয়েও যায়নি। কিন্তু ভোট এলে শীতের পাখির মতো ধান খেতে তাদের এলাকায় আবার দেখা যাবে। নির্বাচন সন্নিকটে, সাধারণ মানুষের কাছে সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরলে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত। আগামী নির্বাচনে আবার বিপুল ভোটে নৌকা মার্কার সরকার বিজয়ী হয়ে শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হবেন ইনশা আল্লাহ।’
মন্ত্রী বলেন,‘সরকার এবং দলের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে দেশের এক জেলা থেকে অন্য জেলায় দৌড়াতে হয় আমাকে, তারপরও নির্বাচনি এলাকা রাঙ্গুনিয়ায় প্রতি সপ্তাহে আসি, শুধু রাঙ্গুনিয়ার উন্নয়নের জন্য। রাঙ্গুনিয়ার এমন একটি স্কুল কলেজ মাদ্রাসা নেই যেটাতে নতুন বিল্ডিং হয়নি। এমন কোনও মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা নেই যেটি কয়েক দফা উন্নয়ন বরাদ্দ পায়নি। সারা দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে সবগুলো সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কারণে।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদারের সভাপতিত্বে ও আওয়ামী লীগ নেতা এমরুল করিম রাশেদ ও মোহাম্মদ সেলিমের সঞ্চালনায় প্রতিনিধি সভায় বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগ নেতা স্বজন কুমার তালুকদার, আবুল কাশেম চিশতী, শাহজাহান সিকদার, মোহাম্মদ আলী শাহ, ইদ্রিছ আজগর, জহির আহমদ চৌধুরী, আকতার হোসেন খান, ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, ইকবাল হোসেন, আবু তাহের, ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল আলম, নুর উল্লাহ, মুজিবুল হক হিরু প্রমুখ।