এম.এইচ মুরাদঃ
চট্টগ্রামের চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা কল্যাণ সমিতির কার্যকরী পরিষদ নির্বাচনে রেকর্ড পরিমান ভোট পেয়ে ও বিপুল পরিমাণ ভোটের ব্যবধানে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে জয়লাভ করেছেন জোবায়ের হাসান চৌধুরী। তিনি সদ্য প্রয়াত চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা কল্যাণ সমিতির সফল সভাপতি মরহুম আলহাজ্ব হাসান মাহমুদ চৌধুরী সিআইপির জৈষ্ঠ পুত্র।
২৭শে ফ্রেবুয়ারী রোজ শনিবার এই নির্বাচনের ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে ভোট গ্রহণ শেষে দীর্ঘ প্রায় ১২ ঘন্টা ভোট গণনার পর ভোর ৪.৩০ মিনিটের সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ ফেরদৌস ফলাফল ঘোষনা করেন। এতে রেকর্ড পরিমান এবং সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয় জোবায়ের হাসান চৌধুরী। তিনি এহসানুল করিম-জুবায়ের হাসান-ইন্জিঃ ইসমাইল প্যানেল থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহন করেছিলেন।
এই উদীয়মান উচ্চ শিক্ষিত তরুণ সমাজ সেবক জোবায়ের হাসান চৌধুরীর নিজস্ব ক্লিন ইমেজ এবং বিশেষ করে তার সদ্য প্রয়াত পিতা মরহুম আলহাজ্ব হাসান মাহমুদ চৌধুরী অত্র সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় দৃশ্যমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, এলাকার সৌন্দর্য বর্ধন সহ করোনাকালে রাতদিন নিজেকে মানুষের সেবায় নিয়োজিত রেখে বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা করে যে নজির স্থাপন করেছিলেন তার ফলশ্রুতিতে এত বিপুল পরিমান ভোটে এবং সবচেয়ে বেশী ভোটের ব্যবধানে তার জয় হয়েছে বলে মনে করছেন চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায় বসবাসরত আপামর জনসাধারণ।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে সমিতির নব নির্বাচিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের হাসান চৌধুরী বলেন,’মানুষের কল্যানের জন্য কাজ করলে এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যেমে মূল্যায়নের সুযোগ দিলে, ভোটাররা সেটা মনে রাখে। নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যেমে বিপূল ভোটে জয়লাভ করা তারই প্রমাণ, এ বিজয় গৌরবের, এ বিজয় অত্র আবাসিক এলাকার প্রতিটি সম্মানিত জনসাধারণের। যেখানে দলমত নির্বিশেষে সবাই প্যানেলের জোবায়েরের চাইতে হাসান মাহমুদ পুত্র ব্যাক্তি জোবায়েরকে বেশি ভোট দিয়েছেন এবং বেশি মূল্যায়ন করেছেন। তাই আমি সবার ভালোবাসার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আপনারা আমাকে ঋণী করলেন। বিশেষ করে আমাদের এহসানুল করিম-জুবায়ের হাসান-ইন্জিঃ ইসমাইল প্যানেলের সম্মানিত সদস্যগণ যেভাবে আমাকে সহযোগিতা করেছেন এবং দিক নির্দেশনা দিয়েছেন এই ভোটে জয়লাভ করার পেছনে তাদের অবদান সবচেয়ে বেশি বলে আমি মনে করছি। আমি আপনাদের এই ঋণ ও নিকুন্ঠ ভালোবাসার প্রতিদান কখনো শোধ করতে পারবো না, শুধু বলবো আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ এবং আপনাদের এই ভালোবাসা, দোয়া এবং সহযোগিতা সব সময়ের জন্য রাখবেন এই আশাই রাখছি। নির্বাচনি ওয়াদা মোতাবেক যা যা বলেছিলাম আপনাদের সাথে নিয়ে সব কিছু সম্পাদন করে এই চান্দগাঁও আবাসিক এলাকাটিকে একটি সত্যিকারের মডেল ও আধুনিক আবাসিক এলাকায় পরিণত করবো ইনশাআল্লাহ। আশা করি অতীতের মতো আপনারা আমার বাবার পাশে যেভাবে ছিলেন ঠিক তেমনি আমার পাশে থেকে এবং সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়ে আমাকে অত্র এলাকার উন্নয়নে অবদান রাখতে সহযোগিতা করবেন সবার কাছে এই প্রত্যাশায় করছি।’