স্টাফ রিপোর্টারঃ
অবশেষে মাঠে গড়াচ্ছে চট্টগ্রাম ওয়াসার স্যুয়ারেজ প্রকল্প। দক্ষিণ কোরিয়ার তায়ং ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড এটির কার্যাদেশ পেয়েছে। আগামী ২২ জানুয়ারি এ কোম্পানির সাথে চট্টগ্রাম ওয়াসার আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি স্বাক্ষর হবে। এরপর শুরু হবে প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ের কাজ। বাস্তবায়ন শেষ হলে এটিই হবে ওয়াসার প্রথম স্যুয়ারেজ প্রকল্প।
এর আগে চট্টগ্রাম ওয়াসার স্যুয়ারেজ প্রকল্পের তিনটি প্যাকেজে দরপত্র মূল্যায়ন শেষ করে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির কাছে প্রেরণ করা হয়। সেখানে অনুমোদনের পর মনোনীত ঠিকাদারের সাথে এবার আনুষ্ঠানিক চুক্তি হচ্ছে। জানতে চাইলে ওয়াসার স্যুয়ারেজ প্রকল্প পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম পূর্বকোণকে বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়ার তায়ং ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড ওয়াসার স্যুয়ারেজ প্রকল্পের কার্যাদেশ পেয়েছে। আগামী ২২ জানুয়ারি এ কোম্পানির সাথে চট্টগ্রাম ওয়াসার আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি স্বাক্ষর হবে।’
ওয়াসা সূত্র জানায়, ৩ হাজার ৮০৮ কোটি ৫৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা ব্যয়ে স্যুয়ারেজ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শেষ হলে চট্টগ্রাম শহরে এটিই হবে স্যুয়ারেজের ওপর ওয়াসার প্রথম প্রকল্প। বাংলাদেশ সরকার ও ওয়াসার যৌথ অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পর নগরীর ২০ লাখ মানুষ স্যুয়ারেজের আওতায় আসবে বলে জানিয়েছেন ওয়াসার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কতৃর্পক্ষ (সিওয়াসা) এর আগে নগরীতে শুধু পানি সরবরাহ করেছে। স্যুয়ারেজ বা পয়ঃনিষ্কাশন প্রকল্প গ্রহণ করতে পারেনি।
ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম পূর্বকোণকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম ওয়াসার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হচ্ছে ‘স্যুয়ারেজ প্রকল্প’। এটির পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে মালয়েশিয়ান এরিঙ্কো কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানটি কাজ শুরু হওয়ার কিছুদিনের মধ্যে করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়। এরপর প্রকল্পের কাজ স্বাভাবিক গতিতে এগিয়ে নিতে বিলম্ব হয়। স্যুয়ারেজ প্রকল্পের তিনটি প্যাকেজে দরপত্র মূল্যায়ন শেষ করে ঠিকাদার নির্বাচন করা হয়েছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যে শুরু হবে নগরীতে প্রথমবারের মতো স্যুয়ারেজের কাজ।’
প্রকল্প কর্মকর্তা জানান, নগরীর হালিশহরে চট্টগ্রাম ওয়াসার ১৬৩ একর জায়গাতে পয়ঃনিষ্কাশন প্রকল্প স্থাপন করা হচ্ছে। প্রকল্পের অধীনে মোট ২০০ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপন ও ২৮ হাজার সার্ভিস কালেকশন দেওয়া হবে। যার মাধ্যমে বাসাবাড়ির পয়ঃবর্জ্য সংগ্রহ করে পরিশোধনের পর সেই পানি সাগরে ফেলে দেওয়া হবে। অবশিষ্ট কঠিন বর্জ্য দিয়ে কম্পোস্ট সার তৈরি হবে। এর জন্য তৈরি হবে দিনে এক লাখ ঘনমিটার ধারণ ক্ষমতার একটি পয়ঃশোধনাগার এবং দৈনিক ৩০০ ঘনমিটার ধারণ ক্ষমতার একটি ফিকেল স্লাজ শোধনাগার।