স্টাফ রিপোর্টারঃ
দীর্ঘ এক যুগে প্রায় ৪শ’ চুরির রেকর্ড ইমনের। চার বার গ্রেপ্তার হয়ে জামিনে বের হয়ে আবারও চুরির পথ বেছে নেয় সে। আত্মীয়-স্বজনের কাছে সে একজন স্বর্ণ ও সিএনজি ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। আবার যেখানে ভাড়া থাকে সেখানকার লোকদের এস আলম বাসের ব্যবসা আছে বলে দাপটের সাথে পরিচয় দেয় সে। চুরিকৃত স্বর্ণালংকার বিক্রি করে ব্যাংকে জমা রাখে, আবার মাঝে মাঝে স্ত্রীর কাছেও জমা রাখে। এই চুরির টাকা দিয়ে চলছিল সৌখিন জীবনযাপন। তবে তার সৌখিনতার জীবন ও ভদ্র মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে করা এসব অবৈধ কর্মকাণ্ডের ইতি ঘটায় কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
সম্প্রতি নগরের নন্দনকানন হরিশদত্ত লেইন, আন্দরকিল্লা রাজাপুকুর লেইন ও হেমসন লেইন এলাকার তিনটি বাসায় চুরি করে ইমন ও তার সহযোগীরা। চুরির অভিযোগ পেয়ে গত ২৪ ঘন্টায় নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিন সহযোগীসহ ইমনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ৭ ভরি স্বর্ণসহ নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— চোর চক্রের প্রধান মো. ইমন (৩২) ও তার স্ত্রী শাজাদা আক্তার প্রকাশ সাদিয়া (২০)। আরও দুই সহযোগী মো. আশ্রাব খান (৩৫) ও আনিকা সুলতানা প্রকাশ সানি (১৯)।
পুলিশ জানায়, চলতি বছরের ৫ মার্চ রাত সাড়ে ৯টায় নগরের কোতোয়ালীর হেমসেন লেইন বড়ুয়া গলির বসুন্ধরা ভবনের ২য় তলার গৃহকর্তা বিয়ের অনুষ্ঠানে গেলে সে সুযোগে ১৭ ভরি স্বর্ণ, ৩শ’ প্রাইজবন্ড ও ১ লাখ ৫ হাজার টাকা চুরি করে ইমন ও তার সহযোগীরা। পাশাপাশি চলতি মাসের ১৬ তারিখ একই দিনে দুই বাসায় চুরি করে নগদ ২ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি করে এই চক্র।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন সিভয়েসকে বলেন, এই চোর চক্রের প্রধান মো. ইমন বিগত ১২ বছরে প্রায় চারশ’ চুরি করেছে। ইমন এর আগেও চার বার গ্রেপ্তার হয়েছিল। জামিনে ছাড়া পেয়ে সে আবারও চুরির পথ ধরে।
তিনি আরও বলেন, ইমন ও তার সহযোগীরা কখনো রাতের বেলা চুরি করে না। দুপুরে বা সন্ধ্যায় বিভিন্ন বাসার তালা ভেঙ্গে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার চুরি করে। এছাড়া তারা মাসের প্রথম সপ্তাহ চুরির কাজ করলেও এর পরে কাজ বন্ধ রাখে। তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।