মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেতনের চেয়ে ওভারটাইম বেশি পান ওয়াসার ১৭ থেকে ২০ গ্রেডের কর্মচারীরা : চট্টগ্রাম ওয়াসায় দুদকের অভিযান


প্রকাশের সময় :২৭ নভেম্বর, ২০১৯ ৯:৫৪ : পূর্বাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টার:

বেতনের চেয়ে ওভারটাইম বেশি পান চট্টগ্রাম ওয়াসার ১৭ থেকে ২০ গ্রেডের কর্মচারীরা। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার নগরীর দামপাড়াস্থ ওয়াসা কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর একটি এনফোর্সমেন্ট টিম। সহকারী পরিচালক জাফর আহমেদের নেতৃত্বে দুদক টিম বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ অভিযান চালায়। অভিযানে সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলামও অংশ নেন।

সূত্রে জানা গেছে, ওয়াসায় অপারেশনাল কাজে জড়িত ১৭ থেকে ২০ গ্রেডের কর্মচারীরা বেতনের চেয়ে বেশি ওভারটাইম ফি পান। ২০১৭ সাল থেকে ওয়াসার বিভিন্ন বুস্টার স্টেশনে কর্মরত কর্মচারীরা বেশি ওভারটাইমের সুবিধা গ্রহণ করে আসছেন। এতে চট্টগ্রাম ওয়াসার বিপুল অর্থ লোপাট হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুদক চট্টগ্রামের এক কর্মকর্তা বলেন, বেতনের চেয়ে বেশি ওভারটাইম নেওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু চট্টগ্রাম ওয়াসায় বেতনের চেয়ে বেশি ওভারটাইম নেওয়ার একটি অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে বিষয়টি অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয় দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক জাফর আহমদকে। মঙ্গলবার জাফর আহমদের নেতৃত্বে ওয়াসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বেশ কিছু নথি জব্ধ করেছে দুদক কর্মকর্তারা।

দুদকের এ কর্মকর্তা বলেন, ওয়াসায় জনবলের সংকট রয়েছে। অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী যেখানে তিনজন কর্মচারীর প্রয়োজন সেখানে একজন পদায়ন রয়েছে। আবার অপারেশনাল কাজগুলো ২৪ ঘণ্টার। রোস্টার করে অপারেশনাল কার্যক্রম চালানোর জনবল নেই ওয়াসায়। যে কারণে তিনজনের কাজ একজন কর্মচারীকে দিয়েই করানো হয়। প্রায় সবগুলো বুস্টার স্টেশনেই এভাবে কর্মচারীরা ওভারটাইম পাচ্ছেন। এটা একদিকে সঠিক থাকলেও সরকারি বিধি মোতাবেক সাংঘর্ষিক। কারণ বেতনের চেয়ে ওভারটাইম বেশি হওয়ার সুযোগ নেই। আবার ওয়াসার গঠনতন্ত্রেও ওভারটাইমের বিষয়ে পরিষ্কার কিছু উল্লেখ নেই।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম ওয়াসায় ওভার টাইম বাবদ প্রতি বছর ৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা খরচ, একাধিক কর্মচারীর দৈনিক ২৯ ঘণ্টার ভুতুড়ে ওভারটাইমসহ নানা অনিয়মের তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে দেশব্যাপী আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এসব আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই দুদকের দল ওয়াসা ভবন পরিদর্শনে এলো।

ট্যাগ :