স্টাফ রিপোর্টারঃ
চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায় রাত থেকে টানা বৃষ্টিতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। বৃষ্টি কমলেও পানি কমছে না চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায়। পানিবন্দি রয়েছে আবাসিকের অন্তত ২৫ হাজার মানুষ। সকাল থেকে কোমর পর্যন্ত পানি ছিল। তবে এখন কিছুটা কমে গিয়ে হাঁটুপরিমাণ পানি জমে দুর্ভোগে পড়েছে চান্দগাঁও আবাসিকের মানুষ।
চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা চট্টগ্রামের বৃহৎ এবং মডেল একটি আবাসিক হওয়া সত্বেও এখানে একটু বৃষ্টি হলেই এভাবে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে তা মেনে নিতে পারছেন না অত্র এলাকায় বসবাসকারী সাধারণ বাসিন্দারা। তারা মনে করছেন খাল বা বড় নালার উপর অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ করে অবাধ পানি চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির কারণে এই ভয়াবহ জলবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। তারা অভিলম্বে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এছাড়া চট্টগ্রাম নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকায় তৈরী হয়েছে জলাবদ্ধতা। তাছাড়া নগরীরর বিভিন্ন রাস্তা ও অলিগলিতে ঘুরে দেখা যায়, বুধবার সারারাত বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছিল। তবে সকাল থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমতে থাকায় মূল সড়ক থেকে পানি নামতে শুরু করলেও কিছু অলিগলিতে এখনও পানি রয়েছে।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল জানান, গেল ২৪ ঘণ্টায় (সকাল ছয়টা পর্যন্ত) চট্টগ্রামে বৃষ্টিপাত হয়েছে ২১৫ দশমিক ৭ মিলিমিটার। আজকেও সারাদিন থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হবে। শুক্রবার (২ জুলাই) পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।
বুধবার (৩০ জুন) সন্ধ্যায় থেকেই ভারী বৃষ্টিপাতে মধ্যরাতেই চট্টগ্রামের দুই নম্বর গেট, মুরাদপুর, আগ্রাবাদ, ডিসি রোড, চকবাজার এলাকায় হাঁটু পরিমাণ পানি উঠেছে। তবে সকাল থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাপ কমে যাওয়ায় মূল সড়ক থেকে পানি নেমে গেছে।