বান্দরবান প্রতিনিধি:
বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধের প্রতিসন্ধি, গৃহত্যাগ ও ধর্মচক্র প্রবর্তন স্মৃতি বিজড়িত আষাঢ়ি পূর্ণিমা উপলক্ষে বান্দরবান পার্বত্য জেলার বৌদ্ধ সম্প্রদায় আষাঢ়ি পূর্ণিমা উদযাপন করছেন।
এ উপলক্ষে ২৩ জুলাই শুক্রবার বান্দরবানের বৌদ্ধ মন্দিরগুলো বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। দিনভর হাজারো ভক্তের পদযাত্রা ছিল মন্দিরমুখী।
বান্দরবান শহরের রাজবিহার, উজানীপাড়া বৌদ্ধবিহার, সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহার, কালাঘাটা বড়ুয়া বৌদ্ধ বিহার, বালাঘাটা বৌদ্ধ বিহারসহ জেলার বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে ধর্মীয় প্রার্থনা, গুরু ভক্তি, প্রদীপ প্রজ্বালন, বৌদ্ধ মূর্তি স্মান এবং ভিক্ষুদের পিণ্ডদান করা হয়। এ ছাড়া বান্দরবান রাজগুরু বৌদ্ধ বিহারে গুরুভান্তে ধর্ম দেশনা দিয়েছেন।
এ দিনে গৌতমবুদ্ধ (সিদ্ধার্থ) জন্ম গ্রহন জন্য মাতৃগর্ভে প্রতিসন্ধি গ্রহণ করেন।
দু:খমুক্তির অন্বেষণে রাজকুমার সিদ্ধার্থগৃহত্যাগ করেন। সর্বপ্রথম ঋষিপতন মৃগদায়ে গৌতম বুদ্ধ ধর্মচক্র প্রবর্তন সূত্র দেশনা বা বৌদ্ধধর্ম প্রচার করেন। প্রাতিহার্য ঋদ্ধি তথা আধ্যাত্মিক শক্তি প্রদর্শন এবংগৌতম বুদ্ধের পরলোকগত মাতা (রাণী মহামায়া) কে স্বর্গে অভিধর্ম্ম দেশনা প্রদান করেন।
মহামানব (সিদ্ধার্থ) গৌতম ও তথাগত সম্যক সম্বুদ্ধের জন্মপূর্ব এবং জন্মোত্তর জীবনের পাঁচটি ঐতিহাসিক এই ৫টি ঘটনার সমন্বয় আষাঢ়ী পূর্ণিমা। বৌদ্ধদের পরম কল্যাণময় ও পুণ্যময় তিথি আষাঢ়ী পূর্ণিমা।
এই পূর্ণিমা তিথিতেই তথাগত গৌতম বুদ্ধ ভিক্ষুদের জন্য ত্রৈমাসিক বর্ষাব্রতের নিয়মও প্রবর্তন করেন। এসব প্রেক্ষাপটে আষাঢ়ী পূর্ণিমা বৌদ্ধদের অত্যন্ত স্মরণীয়-বরণীয় তিথি।
বৌদ্ধ ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী আষাঢ়ি পূর্ণিমা থেকে শুরু করে আশ্বিণী পূর্ণিমা পর্যন্ত টানা তিন মাস বর্ষাবাস ব্রত পালন করবে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা জানান, মহামতি বুদ্ধের অনুসারী সকলেই সংযম, ন্যায় ও সৎ পথে চলা ও পরোপকারের মধ্য দিয়ে তাঁর জীবনাচরণ অনুসরণ এবং শ্রদ্ধার সঙ্গে প্রতিপালন করবেন।