স্টাফ রিপোর্টারঃ
চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা নিলাম অযোগ্য ও মেয়াদোত্তীর্ণ ১১১ লটের ৩৮২ কনটেইনার পণ্য ধ্বংস কার্যক্রম শুরু করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস। আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে শেষ হবে এ কাজ। তবে প্রথম দিনে ৩০ কনটেইনার পণ্য মাটি চাপা দেয়ার কথা রয়েছে।
রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার (নিলাম শাখা) সন্তোষ সরেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি নিয়ে নগরের হালিশহরের আনন্দবাজার এলাকায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ডাম্পিং স্টেশনের পাশের ৫ একর খালি জায়গায় এসব পণ্য ধ্বংস কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ ৩০ কনটেইনার পণ্য মাটি চাপা দেয়া হবে। আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে আমরা পুরো কাজটাই শেষ করব।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা ৩৮২টি কনটেইনারে পেঁয়াজ, আদা, আপেল, ড্রাগন ফল, কমলা, আঙুর, হিমায়িত মাছ, মহিষের মাংস, মাছের খাদ্য, লবণ, রসুন, সানফ্লাওয়ার অয়েল ও কফিসহ বিভিন্ন পণ্য রয়েছে।
ধ্বংসযোগ্য ৩৮২ কনটেইনারের মধ্যে ১৩৬টি বন্দরে রেফার্ড কনটেইনার ও ৩২টি ড্রাই কনটেইনার রয়েছে। বাকি ২১৪টি বিভিন্ন অফডকে থাকা ড্রাই কনটেইনার রয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী আমদানি পণ্য ৩০ দিনের মধ্যে খালাসের নির্দেশ দিয়ে নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশ দেয়ার ১৫ দিনের মধ্যে পণ্য খালাস না নিলে সেসব পণ্য নিলামে তোলে কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ। যেসব পণ্যের মেয়াদ থাকে না এবং পচে যায়, সেগুলোর ধ্বংস কার্যক্রম পরিচালনা করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।