নিউজ ডেস্ক:
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হলো “পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৭ বছর: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি” শীর্ষক একটি গোল টেবিল বৈঠক। অনুষ্ঠানে দেশের বিশিষ্ট চিন্তাবিদ, আইনজীবী, শিক্ষক, সমাজসেবক, সাংবাদিক, ছাত্র প্রতিনিধি এবং রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের ব্যক্তিত্বরা বক্তব্য রাখেন। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস এম সুলতান আহমেদ হলে পিসিএনপি লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট পারভেজ তালুকদার’র সভাপতিত্বে তথ্য ও আলোচনা অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সভাপতি কাজী মজিবর রহমান। তিনি চুক্তির বাস্তবায়ন, বাধা এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। ২৭ বছরে কালো চুক্তি হলো একটা সন্ত্রাসী গুষ্টির চুক্তি। উপজাতিয় সন্ত্রাসী গুষ্টিকে বেগবান করার লক্ষ্যে এই চুক্তি করা হয়েছিলো। আলোচনায় বক্তারা আরও বলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির দীর্ঘ ২৭ বছরের অগ্রগতি এবং সীমাবদ্ধতাগুলো বিশ্লেষণ করেন। তারা চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তা সমাধানে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর জোর দেন।
আলোচনার মূল বিষয়বস্তু তুলে ধরেন চুক্তি বাস্তবায়নের আইনি ও প্রশাসনিক দিক পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি ও উন্নয়নে চুক্তির ভূমিকা স্থানীয় জনগণের চাহিদা এবং উন্নয়ন পরিকল্পনা শিক্ষার্থীদের ভূমিকাসহ যুবসমাজ অংশগ্রহণ করে। গোল টেবিলে আয়োজনে:পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ লিগ্যাল এইড কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এই বৈঠকটি প্রাণবন্ত আলোচনার মধ্য দিয়ে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. ইউনুস, নিরাপত্তা বিশ্লেষক সাবেক অবসরপ্রাপ্ত মেজর এমদাদুল ইসলাম, মুফতি হারুন ইজহার , যুগ্ম মহাসচিব, হেফাজত ইসলাম, মাওলানা আমান উল্লাহ সমরকন্দী , প্রেসিডিয়াম সদস্য ইসলামী ফ্রন্ট, মাওলানা মোঃ এমদাদুল হক সোহায়েল – সভাপতি, খেলাফত মজলিস,
আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম, সভাপতি, ইসলামী আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর, সহযোগী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, নুর মোহাম্মদ রানা, আঞ্চলিক সম্পাদক দৈনিক সময়ের কাগজ, এডভোকেট আব্দুল আউয়াল খান (এপিপি), এডভোকেট আবু হেনা মোস্তফা কামাল, এডভোকেট মোহাম্মদ ইয়াসিন আরফাত সাজ্জাদ, এডভোকেট শেখ সোহেল মাহমুদ রাসেল, মাওলানা নুর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক যুব পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি, মো মুনছুরুল হাসান , বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা প্রমুখ।
এই আয়োজন পার্বত্য চুক্তির ভবিষ্যৎ কার্যক্রম এবং সামগ্রিক উন্নয়নে নতুন দিকনির্দেশনা দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।