এম.এইচ মুরাদঃ
চট্টগ্রামের পটিয়া চরকানাই গ্রামের প্রবীণ আইনজীবী, গনফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা, পটিয়া আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি, চরকানাই জনকল্যাণ সংস্থার সাবেক সভাপতি, পটিয়া আইন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এডভোকেট এ. এম মোয়াজ্জেম হোসেন আর নেই।
রোববার (১৪ জুন) দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)।
মৃত্যুকালে মোয়াজ্জেম হোসেনের বয়স ছিল ৬৮ বছর। তিনি ২ মেয়ে ১ ছেলেসহ বহুগুণগ্রাহী রেখে যান। তিনি ১৯৫১ সালের ১ জুলাই চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের চরকানাই গ্রামে এক মুসলিম সম্ভান্ত্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
গত ৬ জুন মোয়াজ্জেম হোসেনের করোনা টেস্ট রিপোর্টে নেগেটিভ আসে। তারপরও করোনা সন্দেহে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ ও কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন। সর্বশেষ তার ফুসফুসে ইনফেকশন শনাক্ত হয়। রোববার বাদে মাগরিব তার গ্রামের বাড়িতে নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
গনফোরামের কেন্দ্রীয় এ নেতা চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসন থেকে ১১ দলীয় জোটের সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। পেশাগত জীবনে আইনজীবী মোয়াজ্জেম হোসেন পটিয়া যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিশেষ পিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি চট্টগ্রাম জজ কোর্টের আইজিপি, পটিয়া আইনজীবি সমিতিতে অনেক বছর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিভিন্ন সামাজিক এবং সেবামূলক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন।
তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গনফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন, জাতীয় সংসদের হুইপ ও পটিয়ার সাংসদ সামশুল হক চৌধুরী, পটিয়ায় বিএনপির সাবেক এমপি গাজী মুহাম্মদ শাহজাহান জুয়েল, ৫নং হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক, কাপকো স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যাপক নাজিম মুরাদ, চরকানাই জনকল্যাণ সংস্থার বর্তমান সভাপতি আবু মোহাম্মদ আবছার চৌধুরী, আমেরিকা প্রবাসী বিশিষ্ট সাংবাদিক তাপস বড়ুয়া সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।