এম.এইচ.মুরাদঃ
চট্টগ্রামের পটিয়া থানার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়ন ও ধলঘাট ইউনিয়নের সংযোগস্থল হিসেবে পরিচিত ছালেহ আহমদ সড়কটি প্রায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত সিএনজি টেক্সি, ছোট ট্রাক সহ বিভিন্ন যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী গাড়ী চলাচল করে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করার কারণে বৃষ্টির পানি জমে বর্তমানে এই রাস্তাটি দিয়ে মানুষের চলাচলে চরম বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। উপজেলার ধলঘাট ইউনিয়নের ছালেহ আহমদ সড়কে যন্ত্রণা ও দুর্ভোগের কারণে এলাকার লোকজন অতিষ্ঠ।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ৫-৬ বছর পূর্বে এই সড়কের কিছু অংশে উন্নয়ন কাজ করলেও বর্তমানে সড়কটির অবস্থা বেহাল ও নাজুক অবস্থায় রয়েছে। দুর্ভোগের বিষয়টি স্থানীয় লোকজন জনপ্রতিনিধিদের অবহিত করলেও এখনো পর্যন্ত কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় নাই।
জানা গেছে, পটিয়া উপজেলার পাঁচুরিয়া থেকে ধলঘাট ক্যাম্প পর্যন্ত ছালেহ আহমদ সড়কটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সংস্কার না করার কারণে এই সড়কের মুকুটনাইট, হাবিলাসদ্বীপ স্কুল, বড়ুয়া পাড়াসহ বিভিন্ন পয়েন্টে গর্ত সৃষ্টি হয়ে বৃষ্টির পানি জমে থাকে। ছালেহ আহমদ সড়ক দিয়ে কেলিশহর, হাইদগাঁও, দক্ষিণ ভূর্ষি, পটিয়া পৌর সদর ছাড়াও পার্শ্ববর্তী বোয়ালখালী উপজেলায় যোগাযোগের ব্যবস্থা রয়েছে। তাছাড়া পাঁচুরিয়া হয়ে ধলঘাটের বীরকন্যা প্রীতিলতা কমপ্লেক্সে যাওয়া যায়। ফলে বিভিন্ন সংস্থা ছাড়াও লোকজন ছালেহ আহমদ সড়ক দিয়ে চলাচল করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আরিফুর রহমান জানিয়েছেন, ছালেহ আহমদ সড়কের বিভিন্ন এলাকায় বর্তমানে বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। যার কারণে মানুষের চলাচলে যন্ত্রণা ও দুর্ভোগের শেষ নেই। ইতোমধ্যে বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য সামসুল হক চৌধুরীর নজরে আনা হয়েছে এবং পটিয়া উপজেলার এলজিইডির প্রকৌশলী বিশ্বজিত দত্তকে জানানো হয়েছে। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দ্রুত কাজ করা হবে। আমরাও আশা করছি এই সরকারের আমলে যেখানে পদ্মা সেতুর মতো বিশাল বাজেটের সেতুসহ যে পরিমাণ রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন কাজ হচ্ছে তাতে আমাদের এই সামান্য কাজ করতে তেমন বেগ পোহাতে হবে না বলে মনে করছি, শুধুমাত্র সংশ্লিষ্টদের একটু আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকলে এটি অল্প সময়ের মধ্যে সংস্কার করা সম্ভব হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
ধলঘাট ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন, ছালেহ আহমদ সড়কের বিভিন্ন স্পটে গর্ত সৃষ্টি হয়ে বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। ফলে চলাচলে মানুষের দুর্ভোগ হচ্ছে। এলজিইডির প্রকৌশলী এক বছর আগে সড়কটি সংস্কারের জন্য পরিমাপ করেছে। কিন্তু আর কাজ হয়নি।