এম.এইচ মুরাদঃ
করোনাগ্রাসে বাতিল বর্ষবিদায় ও বরণ অনুষ্ঠান। যে ডিসি হিল চৈত্রের শেষদিন বর্ষবিদায় ও পহেলা বৈশাখ বর্ষবরণ উপলক্ষে জনসমুদ্রে পরিণত হতো সেটি এখন নীরব-নিস্তব্ধ। সড়কে নেই বৈশাখী মেলার জন্য জায়গা দখলের প্রতিযোগিতা, কিংবা তারুণ্যের হাতে আঁকা আল্পনাও।
উৎসব উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার জানান, ‘পহেলা বৈশাখ বাঙালির উৎসব সবার যোগে জয়যুক্ত হোক’ স্লোগানে নগরের প্রাচীন এ বর্ষবিদায় ও বরণ অনুষ্ঠান হয়ে আসছে ৪২ বছর ধরে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এবারই প্রথম ছেদ পড়লো চিরচেনা এ আয়োজনে।
একই অবস্থা নৈসর্গিক সৌন্দর্যে অপরূপ সিআরবির শিরীষতলাও। লালদীঘির জব্বারের বলীখেলার মতো এবার সাহাবউদ্দিনের বলীখেলাও দেখবে না চট্টগ্রামবাসী।
সিআরবির বর্ষবিদায় ও বরণ অনুষ্ঠানের যুগপূর্তি হতো এবার। নববর্ষ উদযাপন পরিষদের ব্যানারে পরিচ্ছন্ন এ আয়োজন না হওয়া প্রসঙ্গে পরিষদের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য নাট্যজন প্রদীপ দেওয়ানজী বলেন, মানুষের জন্যই শিল্প-সংস্কৃতি। মানুষকে করোনা ভাইরাসের মহামারী থেকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমরা এবার আনুষ্ঠানিকতা বাদ দিয়েছি।
তবে আমরা একটি নববর্ষের পোস্টার ছাপাবো, যাতে নববর্ষের আবাহনের পাশাপাশি করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে মানুষকে ঘরে থাকার আহ্বানও থাকবে। এ ছাড়া অনলাইনে আমাদের পক্ষ থেকে ডিজিটালি কিছু আয়োজনও থাকছে।