স্টাফ রিপোর্টারঃ
চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম নগরীকে একটি নান্দনিক নগরী গড়তে হলে সকল সেবা সংস্থা ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এবং সহযোগিতা প্রয়োজন। বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী, চসিকের নির্বাচিত কাউন্সিলর, জনপ্রতিনিধি ও নাগরিক সমাজের যে কোন সমস্যার জবাবদিহি করতে হয় তাদেরকে। তাই নগরীর প্রতিটি উন্নয়ন কাজে তাদের সম্পৃক্ত করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই।
তিনি গতকাল (বৃহস্পতিবার) সকালে নগরীর আন্দরকিল্লাস্থ পুরাতন নগর ভবনে কে বি আব্দুস ছাত্তার মিলনায়তনে চসিকের ৬ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ২০তম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন।
সিটি মেয়র আরো বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসন ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের যে কাজ চলমান আছে সেখানে অনেক সমস্যা এখনো দৃশ্যমান। এই সমস্যাগুলো সমাধানকল্পে জরুরি ভিত্তিতে সমন্বয় সভার আয়োজন করা হবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি চসিকের রাজস্ব আয় বৃদ্ধির ব্যাপারে বন্দর, কাস্টম থেকে যে কর আদায় করার পরিকল্পনা আছে তা বাস্তাবায়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সাথে পত্র প্রেরণসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তাকে নির্দেশনা প্রদান করেন।
তিনি জানান, দুই হাজার পাঁচশত কোটি টাকার নগর উন্নয়ন প্রকল্প সম্পূর্ণ সরকারি ব্যয়ে করার জন্য প্রধানমন্ত্রী যে বরাদ্দ দিয়েছেন তা বাস্তবায়নের জন্য নতুনভাবে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সচিব খালেদ মাহমুদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র, ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সংরক্ষিত কাউন্সিলর, বিভিন্ন সেবা সংস্থার প্রতিনিধি ও বিভাগীয় প্রধানগণ।
মেয়র আরো বলেন, চট্টগ্রাম ওয়াসা বিনা অনুমতিতে নগরীর বিভিন্ন রাস্তা কর্তন করলে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী, গ্রাহক ও চসিক প্রকৌশলীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন, পতেঙ্গা, হালিশহর, কাট্টলীসহ যেসব উপকুলীয় ওয়ার্ড আছে সেখানে খাওয়ার পানি সংকট তীব্রতর, বিষয়টি সর্ম্পকে চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃপক্ষকে বারবার অবগত করা হলেও তারা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
তিনি এই সভা থেকে বিষয়টি গুরুত্বে দিয়ে অবিলম্বে উপকূলীয় ওয়ার্ডগুলোতে খাবার পানি সংকট নিরসনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান।
মেয়র ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়ার প্রকোপ রোধে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সমন্বয়ে জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন ও এডিস মশার উৎপতি স্থান ধবংস এবং নিয়মিতভাবে মশার ওষুধ ছিটানোর জন্য ক্র্যাস প্রোগ্রাম অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। সভার শুরুতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ উপনেতা বেগম সাজেদা চৌধুরীসহ নগরীর গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গ্রহণ ও তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজত করা হয়।