মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দলীয় মনোনীত লেখায় বিপাকে চসিকের কাউন্সিলর প্রার্থীরা


প্রকাশের সময় :১৭ জানুয়ারি, ২০২১ ৭:৩১ : অপরাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা পড়েছেন বেকাদায়। তাদের পোস্টারে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনীত লেখায় পড়েছেন বিপাকে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের দায়িত্ব প্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী অনিয়ম, বিভিন্ন অপরাধ ঠেকাতে মাঠে নেমেছেন। শনিবার বেশ কয়টি ওয়ার্ড পরিদর্শন করে নির্বাচনী প্রচার পচারণায়, পোস্টার, লিপলেট, মাইক ব্যবহারে অনেক অসংগতি পেয়েছেন। অনেককে জরিমানাও করেছেন। অনেককে সময় বেঁধে দিয়েছেন।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে বলেছেন, কাউন্সিলর প্রার্থীরা দলীয়ভাবে মনোনীত নয়। তাই তারা পোস্টার লিপলেটে দলীয় মনোনীত লিখতে পারবেন না। তারা দলীয় প্রতীক ব্যবহার করতে পারবেন না।

দেখা গেছে, অনেক দলীয় সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ও তাদের নির্বাচনী অফিস এক করে ফেলেছিন। সেখানে ব্যবাহার করছেন নৌকার প্রতিকৃতি। এজন্য সব প্রার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করে পোস্টার, ব্যানার, লিফলেট সরানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আলাদা অফিস করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় আচরণবিধি লংঘনের দায়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক শনিবার দুপুর ২ টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের আচরণবিধি পর্যবেক্ষন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে কোতোয়ালি এলাকার ৩৩, ৩৪ ও ৩৫ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন। এ সময় দেখা যায়, বেশিরভাগ কাউন্সিলররা পোস্টার, ব্যানার ও লিফলেটে নিজেদের দলীয় প্রার্থী হিসেবে পরিচয় দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এটি কাউন্সিলরদের নির্বাচন আচরণবিধি লংঘন। যেহেতু কাউন্সিলর দলীয়ভাবে মনোনীত নয়, তাই তাদের এ ধরনের পোস্টার, ব্যানার,লিফলেট আজকের মধ্যে সরিয়ে ফেলতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় পরবর্তীতে আচরণবিধি লংঘনের দায়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুজন চন্দ্র রায় ১৬, ২০ ও ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন। বাগমনিরাম ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী গিয়াস উদ্দিনের পক্ষে মাইক দিয়ে প্রচারণা, দলীয়ভাবে মনোনীত লেখা পোস্টার গাড়িতে লাগিয়ে প্রচরণার দায়ে তিনি প্রার্থীর প্রচারকারী আনোয়ারকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

১২, ২৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে নেতৃত্ব দেন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম। কাউন্সিলর প্রার্থী নাজমুল হক ডিউকের পক্ষে অনুমতি ছাড়া মাইক ব্যবহার করায় তিনি প্রার্থীর দুই কর্মীকে আটকের আদেশ দেন। পরে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। মেয়র প্রার্থী জান্নাতুল ইসলামের কর্মীরা গাড়িতে পোস্টার লাগিয়ে প্রচারণা কার্যক্রম চালালে পোস্টার অপসারণ করে তাদের ফেরত পাঠান তিনি।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুস সামাদ শিকদার ২৭, ৩৭ ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে তিনি বিধি বহির্ভূতভাবে ব্যানার, পোস্টার অপসারণ করার নির্দেশ দেন। এছাড়া ১ জনকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

নগরের ১৪, ১৫ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে নেতৃত্ব দেন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলমগীর। অভিযানে এক মেয়র প্রার্থীর রঙিন পোস্টার অপসারণ করা হয়। মেয়র প্রার্থীর সাথে কাউন্সিলর প্রার্থীর যৌথভাবে টাঙানো ব্যানার নামিয়ে ফেলা হয়।

ট্যাগ :