মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টানা ৩ দিনের ছুটিতে খালি নেই সাজেকের কোনও কটেজ


প্রকাশের সময় :২২ ডিসেম্বর, ২০২২ ৫:৩৪ : অপরাহ্ণ

রাঙামাটি প্রতিনিধিঃ

সাপ্তাহিক ছুটি ও বড় দিন মিলে টানা তিন দিনের বন্ধে রাঙামাটিতে পর্যটকদের ঢল নামতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। আর পর্যটকদের বরণে প্রস্তুতে পাহাড়ি জেলা রাঙামাটি। ইতিমধ্যে মেঘের রাজ্য সাজেকসহ শহরের সব কটেজ প্রায় শতভাগ বুকিং হয়ে গেছে। পর্যটকদের বরণে অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে ভোগান্তি এড়াতে অবশ্যই বুকিং নিশ্চিত করে সাজেক আসার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

ভ্রমণপিপাসু মানুষ পাহাড় আর হ্রদঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে রাঙামাটিতে ভ্রমণ আসেন। এখানকার সাজেক ভ্যালি ভ্রমণপিপাসুদের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। মেঘ পাহাড়ের লুকোচুরি উপভোগ করতে সারা বছর পর্যটকের পদচারণায় মুখর থাকে এই স্থান। ছুটি পেলে এই সংখ্যা বেড়ে যায় বহুগুণে। এবারও এর ব্যতিক্রম নয়। সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে বড় দিনের ছুটি যুক্ত হওয়ায় টানা তিন দিনের বন্ধে ইতিমধ্যে মেঘের রাজ্য সাজেকের ছোট-বড় সব কটেজ আগাম বুকিং হয়ে গেছে। এমনটা শুধু সাজেক নয়, একই চিত্র রাঙামাটি শহরেও।

ঝুলন্ত সেতু, সুবলং ঝর্ণা, পলওয়েল পার্ক ও হ্রদ ভ্রমণ পর্যটকদের পছন্দ বেশি। ছুটিতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকে বিনোদনকেন্দ্রগুলো। হ্রদে ভ্রমণে পর্যাপ্ত নৌকা প্রস্তুত রয়েছে। টেক্সটাইল মার্কেটগুলোও তাদের প্রস্তুতি সেরে নিয়েছে। পর্যটকদের চাহিদা মেটাতে বাড়তি প্রস্তুতি নিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

পর্যটকরা কেউ কেউ শহুরে যান্ত্রিক জীবনের ক্লান্তি দূর করতে আসা পর্যটকরা মেঘের রাজ্য সাজেকের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যদিও সাজেক এখন কুয়াশার চাদরে আবৃত। ভিন্ন সাজেকে এই রূপ দেখতে কেউ ছুটছেন কংলাক পাহাড়ের চূড়ায় কেউবা হেলিপ্যাডে। প্রাণভরে উপভোগ করছেন কুয়াশা ভেদ করে ওঠা রক্তিম সূর্যের উদয় অস্ত। সঙ্গে মেঘ ও সূর্যের লুকোচুরি তো আছেই। প্রকৃতির এমন রূপে মুগ্ধ পর্যটকরা।

ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক মো. নাঈম ইসলাম বলেন, বিভিন্ন সময় ছবিতে যে সাজেক দেখেছি, বাস্তবে তার চেয়েও সুন্দর। কটেজ থেকেই পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। অন্য রকম এক অনুভূতি। দেশটা যে কত সুন্দর এখানে না এলে সেটা বোঝা সম্ভব না।

ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা আরেক পর্যটক ইশরাত আরা বলেন, বাচ্চাদের পরীক্ষা শেষ হয়েছে। ইট-পাথরের শহর থেকে বাচ্চাদের প্রকৃতির কাছে নিয়ে এসেছি। ঢাকায় চারদিক তাকালে শুধু বড় বড় দালান দেখা যায়। আর এখানে বড় বড় পাহাড়।

খাসরাং হিল রিসোর্টের ম্যানেজার সুব্রত চাকমা বলেন, সাপ্তাহিক ছুটি ও বড় দিন মিলে টানা তিন দিনের বন্ধে সব রুম বুকিং হয়ে গেছে। এখন পর্যটকদের বরণের অপেক্ষার আছি। আমাদের রিসোর্টে সব আধুনিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।

চাঁদের বাড়ি রিসোর্টেও ব্যবস্থাপক ইয়াছিন রাসেল বলেন, আমাদের রিসোর্টে আটটি রুম রয়েছে। শুক্রবার থেকে যে তিন দিনের ছুটি রয়েছে। এ ছুটিতে সব রুম বুকিং হয়ে গেছে। এ মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত বুকিং আছে আমাদের।

রাঙামাটি সাজেক কটেজ মালিক সমিতি সহ-সভাপতি চাই থোয়াই অং চৌধুরী জয় বলেন, সারা বছর সাজেকে পর্যটক থাকে, তবে বন্ধের দিনগুলোতে একটু বেশি চাপ থাকে। সাজেকে মোট ১২০টি কটেজ রয়েছে। যেখানে রাত্রি যাপন করতে পারে তিন হাজার পর্যটক। ঝামেলা এড়াতে কটেজ বুকিং নিশ্চিত করে সাজেকে আসার পরামর্শ কটেজ মালিক সমিতির এই নেতার।

শহরের নতুন আবাসিক হোটেল স্কয়ার পার্কের স্বত্বাধিকারী নেয়াজ আহমেদ বলছেন, আমার হোটেলে সব রুম বুকিং হয়ে গেছে। নতুন করে কাউকে আর রুম দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

ট্যাগ :