স্টাফ রিপোর্টারঃ
টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার মধ্যে সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীর বাড়িতেও পানি ঢুকেছে।
রবিবার সকালে নগরীর বহদ্দারহাটের বহদ্দার বাড়ি এলাকা ও মেয়রের বাড়ি সংলগ্ন মূল সড়ক থেকে বাড়ির ভেতর পর্যন্ত জলাবদ্ধতা দেখা যায়।
বেলা আড়াইটার দিকে সিটি মেয়র রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের এলাকায় পানি উঠেছে। এমনকি আমার বাড়ির উঠানে এবং ঘরের ভেতরও এক হাঁটু পানি। পানি ডিঙিয়েই দুপুরে বাড়ি থেকে বেরিয়েছি। জলাবদ্ধ কয়েকটি এলাকায় গিয়েছি। পাহাড় ধসের পর ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ দেখতে গিয়েছি। এখন আবার বের হব।”
গত পরশু থেকে টানা বৃষ্টিতে শুক্রবার রাতে নগরীরর নিচু অংশ পানিতে তলিয়ে যায়। শনিবার সকাল থেকে জলাবদ্ধ এলাকার পরিমাণ বেড়ে যায়।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্র ও শনিবার মিলিয়ে নগরীতে ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে। আমবাগান আবহাওয়া অফিস শনিবার বেলা ৩টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে ১৭২ দশমিক ৫ মিলিমিটার। তার আগে বেলা ১২টা পর্যন্ত ছিল ২০৪ দশমিক ৫ মিলিমিটার। যদিও বন্দর নগরীতে অন্য সময় ৫০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হলেই বিভিন্ন নিচু এলাকা ডুবে যায়।
জলাবদ্ধতার বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র বলেন, “আমরা বারবার খাল থেকে বাঁধ অপসারণের জন্য বলেছি। মাটি যতক্ষণ খালে থাকবে ততক্ষণ পানি সরতে পারবে না। আবার কাজ শেষ না করে বাঁধ সরালেও সমস্যা। কারণ ২ মাস পর আবার সেখানে কাজ শুরু হবে।
পুরো কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই সমস্যা থাকবে। তা ছাড়া প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাতও হয়েছে। আর পাহাড় কাটা মাটি ও আবর্জনা জমে অনেক পরিষ্কার করা খাল নালাও ভরাট হয়ে পানি চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে।”
শুক্রবার সন্ধ্যার পর মুষলধারে বৃষ্টিতে রাত ৮টা থেকে নগরীর বহদ্দারহাট, কেবি আমান আলি রোড, বাদুরতলা, কাপাসগোলা, হালিশহরের বিভিন্ন অংশ, ফইল্যাতলি বাজার, ষোলশহর দুই নম্বর গেইট, মুরাদপুর, শুলকবহর, কাতালগঞ্জ, বাকলিয়ার কয়েকটি অংশ ও চকবাজারে পানি উঠে। এরপর শনিবার সকালেও এসব এলাকায় পানি ছিল, যা দুপুরের পর নামতে শুরু করে। আবার পুনরায় বৃষ্টি শুরু হলে আজ রবিবারও নতুন করে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
এর আগে গত বছরের ২ জুলাই ও ৩ অগাস্টসহ কয়েক দফায় বর্ষায় ডুবেছিল সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীর বাড়ি।