এম.এইচ মুরাদঃ
দেশের শীর্ষ স্থানীয় ও স্বনামধন্য শিল্প প্রতিষ্ঠান পিএইচপি গ্রুপের বিরুদ্ধে একটি স্বার্থনেষি ও কুচক্রী মহল জায়গা দখলের মিথ্যা ও কাল্পনিক অভিযোগ তুলেছে বলে জানা গেছে। অথচ যে জায়গার জন্য অভিযোগ করা হয়েছে সেই জায়গার সীমানা ও দাগের কোনো মিল নেই পিএইচপির কোন জায়গার সাথে। অবাস্তব একটি ইস্যু দাঁড় করিয়ে স্বনামধন্য শিল্প প্রতিষ্ঠান পিএইচপি গ্রুপের বিরুদ্ধে মিথ্যা জায়গা দখলের অভিযোগ করেছে স্থায়ীয় একটি সুবিধাবাদী চক্র। কাগজে কলমে ঐ জায়গা পিএইচপি ফ্যাক্টরি থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে হলেও কাল্পনিক এমনি এক অভিযোগ জমা পড়েছে সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায়ের কাছে। তবে পিএইচপি কতৃপক্ষের দাবি এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মনগড়া। পার্শ্ববর্তী একটি কারখানার আজ্ঞাবহ হয়ে এর আগেও জায়গা দখলের অভিযোগ এনেছিল কয়েকটি স্বার্থনেষী মহল।
তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন পিএইচপি মালিক জনাব আলহাজ্ব সুফি মিজানুর রহমান একজন স্বনামধন্য সুফি সাধক, তিনি কখনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেন না, পিএইচপি ফ্যামিলি সব সময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং মানবিকতার বিষয় নিয়ে ভাবে। এর পরেও যদি কোনো কারণে জনগণের চলাচলের পথ ফ্যাক্টরির ভেতরে চলে আসে এবং তা যদি প্রমাণিত হয় তাহলে নিজ খরচে সে চলাচলের পথ জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেবে পিএইচপি। পিএইচপি ফ্যামেলি সুফিবাদে বিশ্বাসী একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান। গণমানুষের ক্ষতি হয় এমন কোনো স্বার্থান্বেষী কাজ পিএইচপি আগেও করেনি ভবিষ্যতেও করবেনা।
পিএইচপি সূত্রে জানা যায়, পার্শ্ববর্তী একটি কারখানার আজ্ঞাবহ হয়ে এর আগেও জায়গা দখলের এমন অভিযোগ এনেছিল কয়েকটি চক্র। সর্বশেষ ‘সাধারণ মানুষের চলাচলের পথ দখলের অভিযোগ এনে সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায়ের কাছে অভিযোগ করে একটি চক্র।
অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায় বলেন, শুধু পিএইচপি নয় জায়গা দখলের এমন অভিযোগ রয়েছে সীতাকুণ্ড এলাকার অনেকগুলো শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।
পিএইচপির বিরুদ্ধে করা অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগটি সরেজমিনে তদন্ত করার জন্য সহকারী কমিশনার ভূমি এর (এসি ল্যান্ড) কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন দিলে এবং অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় চক্রটি অভিযোগে উল্লেখ করে- বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ১ নম্বর খতিয়ানভুক্ত বিএস ৭৬১০ দাগের ৭৩ শতাংশ রাস্তা দখল করে নিয়েছে পিএইচপি গ্রুপ। শুধু তাই নয়-জনগণের রাস্তা দখল করে গ্লাস ফ্যাক্টরির সীমানায় ঢুকিয়ে নিয়েছে পিএইচপি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে পিএইচপির অন্য এক উর্ধতন কর্মকর্তা বলেন, ‘রাস্তা দখলের কথা বলে যে দাগ নাম্বার নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে তা হলো মুকবুল্লাহপুর আর পিএইচপি গ্লাস ফ্যাক্টরি হলো বাঁশবাড়িয়াতে। যা আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় দুই থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে। অভিযোগের একটা গ্রাউন্ড থাকে কিন্তু এখানে কিছুই নেই। আমাদের প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট করার জন্য একটি কুচক্রী মহল এই ধরনের ষড়যন্ত্র করছে বলে আমি মনে করছি। তাই আমাদের সম্মানিত ব্যাবসায়িক পার্টনার, গ্রাহকবৃন্দ, সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি বিনীত অনুরোধ থাকবে আপনারা এই সমস্ত অপপ্রচার ও গুজবে কান না দিয়ে বরাবরের মতো আমাদের পাশে থাকবেন এই আশাই করছি।’