এম.এইচ মুরাদঃ
করোনায় অসহায় হাজারো মানুষকে নিরবে নিভৃতে খাদ্যদ্রব্য ও অর্থ সাহায্য বিতরণ করে শিক্ষনীয় দৃষ্টান্ত অর্জন করে চলছে রাঙ্গুনিয়ার কৃতি সন্তান দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের জমিদার খান বাহাদুর সিদ্দিক আহমদ চৌধুরীর নাতি এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১৫নং বাগমনিরাম ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী বিশিষ্ট দানবীর চৌধুরী সাইফুদ্দিন রাশেদ সিদ্দিকী (রাশেদ চৌধুরী)। তিনি সম্পূর্ণ নিজের অর্থায়নে ১৫০০ ব্যাগ করে দুই বারে ৩০০০ ব্যাগ এাণ সামগ্রী ১৫নং বাগমনিরাম ওয়ার্ড উনার নির্বাচনী এলাকা এবং আশেপাশের সাধারণ জনগণের ঘরে ঘরে ইতিমধ্যে পৌঁছিয়ে দিয়েছেন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আরও ২০০০ ব্যাগ খাদ্য সামগ্রী অসহায় মানুষের কাছে পৌঁছে দিবেন বলে জানা গেছে।
যখনই এই বাংলায় কোন দূর্যোগ আসে ঠিক তখনই রাশেদ চৌধুরী মানুষের পাশে থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। দিন রাত ঘুরে অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌছে দেন। ঝর বন্যায় ঘর ভেঙ্গে গেলে ঘর বানিয়ে দেন। শীতে বস্ত্র দেন শীত নিবারণের জন্য। খাবার বিতরণ করেন প্রতি বছর পুরো
রোজার মাস জুড়ে। ঈদ-উল-ফিতর এবং ঈদ- উল-আযহায় জাকাত প্রদান, দরিদ্রদের
মাঝে নতুন কাপড় বিতরণ এবং কুরবানী পশু মাংস কোন কিছুতেই বাদ রাখেননা দরিদ্র
অসহায় মানুষদের সেবায় এই প্রচার বিমূখ রাশেদ চৌধুরী। অত্যন্ত মার্জিত এবং শান্ত স্বভাবের অনেকটা নিভৃতচারি এই রাশেদ চৌধুরী তার মালিকানাধীন বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাকরী দিয়েছেন অসংখ্য মানুষকে।
নেই কোন টাকার বাহাদুরি, এখনো পথে ঘাটে মাঠে রাস্তায় যেখানেই কেউ তাকে ডাকে সেখানেই সদা হাস্যমুখে ছুটে যান রাশেদ চৌধুরী। গ্রাম্য রাস্তার টং দোকান থেকে চা খান দরিদ্র মানুষের পাশে বসে। তাদের খোঁজ খবর নেন আবার সে সুবাদে অর্থ সাহায্যও করেন নিভৃতে।
সারা বিশ্ব এখন করোনা ভাইরাসের মতো মহামারীর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তার ব্যতিক্রম নয় আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশ তথা চট্টগ্রামও। একারণে সরকার কতৃক ঘোষিত দেশের বেশীরভাগ এলাকা এখন লক ডাউনের আওতায়। তাই দেশের বেশীরভাগ মানুষ এখন ঘরবন্দী এবং কর্মহীন অবস্হায় আছে।আর এই অসহায় মানুষদের পাশে বিভিন্ন ত্রান সামগ্রী নিয়ে দাড়িয়েছেন রাশেদ চৌধুরী। তার এই কর্মযজ্ঞে যেন কোন অনিয়ম বা শৃঙ্খলা ভঙ্গ না হয় সে কারণে সাথে রেখেছেন বেশ কিছু সেচ্ছাসেবক সদস্য এবং এলাকার কিছু বন্ধুবান্ধবদেরকে।
রাশেদ চৌধুরী শুধু খেটে খাওয়া দিন মজুরই নয় এবার তিনি খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন সে সব মধ্যবিত্ত মানুষের মাঝে যারা সরকারি ত্রাণের জন্য চক্ষু লজ্জায় দাঁড়াতে পারেন না কারো কাছে বা কোন সরকারি ত্রাণের লাইনে। মুখ ফুটে কাউকে বলতে পারেন না তাদের অভাব অনটনের কথা। তাই রাশেদ চৌধুরী রাতের আঁধারে নিজে সে সব মানুষের খোঁজ খবর নিয়ে এসে পরে লোক চক্ষুর আড়ালে সে সব মধ্যবিত্ত পরিবারের কাছে খাদ্য সামগ্রী বা কখনো নগদ অর্থ বিতরণ করে যাচ্ছেন। তার এই মহান কর্মযজ্ঞের পরেও কোথাও নেই তাঁর ত্রাণ বিতরণ কালে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো কোন ফটোসেশান এর ছবি। নেই কোন পত্রিকা অথবা টিভি মিডায়ার সামনে নিজেকে দানবীর সাজানোর নির্লজ্জ প্রতিযোগিতা। অত্যন্ত নিভৃতে থেকে কি করে সত্যিকারের জনসেবা করতে হয় রাশেদ চৌধুরী যেন তারই জীবন্ত উদাহরণ। মধ্য মার্চ থেকে চলছে তার নিরব ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি শ্রমহীন এবং শ্রমজীবী কর্মহীন মানুষের জন্য। গত কয়েকদিন আগে থেকে শুরু করেছেন নিন্মবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত মানুষের মাঝে তাঁর ত্রাণ বিতরণের এক মহতি কার্যক্রম। এবং তিনি ঘোষণা দিয়েছেন যে,তার এই ত্রাণ কার্যক্রম চলতেই থাকবে যতো দিন পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষ স্থিতিশীল পর্যায়ে না পৌছায়। এবং তিনি বলেন, আমার এই সাহায্য সহযোগিতা থাকবে সবার জন্য উমুক্ত। কোন দল, গোষ্ঠী নয় মানুষের জন্যই আমার এই সামান্য প্রচেষ্টা। যদি মানুষের সেবা করার মাধ্যমে তাদের মূখে একটু হাসি ফোটাতে পারি এটাই হবে আমার পাওনা। আমার আর কিছু চাওয়া পাওয়ার নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ত্রাণ সামগ্রী পাওয়া মেহেদীবাগ এলাকার মধ্যবিত্ত এক বাসিন্দা বলেন, যেখানে সারা বাংলাদেশের সরকারি ত্রাণ চুরি করছে সরকারি ভাবে দায়িত্ব প্রাপ্ত চেয়ারম্যান,মেম্বাররা সহ ত্রাণ কর্মসূচিতে সংশ্লিষ্ট মানুষের আদলে জন্ম নেয়া জানোয়ারদের এক বিশাল অংশ! ঠিক সেখানেই আবার রাশেদ চৌধুরীর মতো মানুষগুলো সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত টাকায় চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের সত্যিকারের সেবা দান কর্মকান্ড। তাও আবার কোন রকম ব্যাক্তিগত প্রচার প্রচারণা ছাড়া। মহান সৃষ্টিকর্তা যেন এইসকল দানবীর মানুষদেরকে কবুল করে আরও বেশী বেশী অসহায়দের পাশে থাকতে পারে মতো তওফীক দান করুক এই দোয়াই করি।