স্টাফ রিপোর্টারঃ
সাধারণ ও সংরক্ষিত মিলিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৫৩ কাউন্সিলরের (আলকরন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ব্যতীত) জন্য আসন পাতা হয় ৩৭টি। এসব আসন কাউন্সিলরদের জন্য ‘সংরক্ষিত’ মর্মে স্টিকার-স্ট্যান্ড প্রদর্শিত থাকায় বাকি কাউন্সিলরগণ অন্য কোনো আসনেও বসতে পারছিলেন না। ফলে আসন বণ্টনের এই অব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টির পাশাপাশি কাউন্সিলরদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টায় নবনির্বাচিত চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর দায়িত্ব গ্রহণ উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে কাউন্সিলরদের আসন বণ্টন নিয়ে এই অব্যবস্থাপনা ও অসন্তোষ লক্ষ করা গেছে।
আসন অব্যবস্থাপনা নিয়ে এসময় ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় ২১ নম্বর জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন ও ২৫ নম্বর রামপুর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুস সবুর লিটনকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সুধী সমাবেশে ৫৪ জন কাউন্সিলরের জন্য আসন ছিল মাত্র ৩৭ টি। তবে সেই আসনগুলোও দখল করে বসে থাকতে দেখা যায় সাধারণ লোকদের। এমন অব্যবস্থাপনায় এক পর্যায়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে নিজের আসন ছেড়ে উঠে যেতে দেখা যায় শৈবাল দাশ সুমন ও আব্দুস সবুর লিটনকে।
ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের ডেকে তাৎক্ষণিকভাবে এবিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন দুই কাউন্সিলর।এসময় অন্যন্য কাউন্সিলরদেরকে তাদের সমর্থন দিতে দেখা যায়। পরবর্তীতে সামনের সারির আসন কাউন্সিলরদের জন্য ছেড়ে দেওয়া হলেও পেছনের আসনগুলো ছিল সাধারণ মানুষের দখলে।
এ অবস্থায় ৮ নম্বর শোলকবহর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোরশেদ আলমসহ বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরকে দীর্ঘসময় ধরে আসনের অভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।