স্টাফ রিপোর্টারঃ
নজিরবিহীন নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু নির্বাচনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ডের উপ-নির্বাচনে কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন কারাবন্দি যুবলীগ নেতা নুর মোস্তাফা টিনু। তার প্রাপ্ত ভোট ৭৮৯ । তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী মো. আব্দুর রউফ (ব্যাডমিন্টন র্যাকেট) প্রতীকে পেয়েছেন ৭৭৩ ভোট। কাঁটা চামচ প্রতীকে ৭৩৫ ভোটে তৃতীয় অবস্থানে আছেন মো. আলী আকবর হোসেন চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে রিটার্নিং অফিসার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন নিজ কার্যালয়ে এ ফলাফল ঘোষণা দেন। তিনি জানান, মোট ভোট গ্রহণ হয়েছে ৬৯৩২টি। শতকরা হারে যা ২১ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
অন্যান্যদের মধ্যে মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন (রেডিও) ৬১৭, মো. শাহেদুল আজম শাকিল (ক্যাপ) ৫৯০, মো. সেলিম রহমান (ঠেলাগাড়ি) ৫২৮, কাউন্সিলর সাইয়্যেদ গোলাম হায়দার মিন্টুর স্ত্রী মেহেরুন্নিছা খানম (ড্রেসিং টেবিল) ৫২৭, বিএনপির একক প্রার্থী এ কে এম সালাউদ্দিন কাউসার লাবু (হেডফোন) ৪৪৪, মো. নাজিম উদ্দীন (কাঁচি) ৪৪৩, মো. আবুল কালাম চৌধুরী (সূর্যমুখী ফুল) ২০৮, মো. সামশেদ নেওয়াজ রনী (ঘুড়ি প্রতীক) ২০২, কাজী মুহাম্মদ ইমরান (লাটিম) ১৭৭, মো. আলাউদ্দিন (টিফিন ক্যারিয়ার) ১৫৯, কায়ছার আহমেদ (প্রদীপ) ১৫৩, মো. নুরুল হুদা (ঝুড়ি) ১৫০, মো. নোমান চৌধুরী (ট্রাক্টর) ১১৪, মো. রুবেল ছিদ্দিকী (করাত) ৭৩, শওকত ওসমান (এয়ারকন্ডিশনার) ৬২, মো. আজিজুর রহমান (হেলমেট) ৪৯, মোহাম্মদ জাবেদ (স্ট্রবেরি) ৩৩ এবং মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মমতাজ খান (পান পাতা) ৬ ভোট পেয়েছেন।
কাউন্সিলর সাইয়্যেদ গোলাম হায়দার মিন্টু মৃত্যুবরণ করার পর চকবাজার ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) ইভিএমের মাধ্যমে ১৫টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় শেষ হয় ভোটগ্রহণ। নির্বাচন উপলক্ষে জোরদার করা হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এছাড়া মাঠে নজরদারিতে ছিলেন ৫ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
রিটার্নিং অফিসার ও জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এই ওয়ার্ডের প্রতিটি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট গ্রহণ হয়। প্রত্যেক কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পুলিশ ছিল এবং সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হচ্ছে। কোনো রকম ঝামেলা হয়নি।’
সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) বিজয় বসাক বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাই সকাল থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন ছিল।’
উল্লেখ্য, চকবাজার ওয়ার্ডের এবারের উপ-নির্বাচনে ২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে বিএনপির একজন এবং আওয়ামী লীগের ২০জন প্রার্থী রয়েছেন।
চকবাজার ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৩২ হাজার ৪১ জন। পুরুষ ভোটার ১৬ হাজার ২১৬ জন এবং নারী ভোটার ১৫ হাজার ৮২৫ জন। ১৫টি ভোটকেন্দ্রে ৮৬টি ভোটকক্ষ। ভোটগ্রহণের জন্য ১৫ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ৮৬জন সহকারী প্রিসাইডিং ও ১৭২জন পোলিং কর্মকর্তাসহ ২৭৩ জন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেন।