এম.এইচ মুরাদঃ
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ওয়েস্টার্ন রিজিয়নের বিদা যায়েদ প্রবাসী বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, রাজনিতিবিদ, সমাজসেবক চট্টগ্রামের কর্নফুলী উপজেলার শিকলবাহার কৃতিসন্তান, প্রয়াত দেশবরেণ্য রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু’র ঘনিষ্ঠ সহচর, সংযুক্ত আরব আমিরাত আলহাজ্ব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা,ও বঙ্গমাতা পরিষদ এর প্রতিষ্ঠাতা, বিদা যায়েদ বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি আবুধাবীর প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী ও দানবীর মোহাম্মদ ছালেহ (৫৬)।
সোমবার (১ জুন) স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে তিনি চট্টগ্রামের একটি বেসরকারী হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্না-লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
আমিরাত প্রবাসী ওনার কয়েকজন শুভাকাঙ্ক্ষী বলেন, মোহাম্মদ ছালেহ খুবই অমায়িক এবং সহজ সরল ভালো মনের মানুষ ছিলেন। আমরা প্রবাসীরা গভীর শ্রদ্ধাভরে এবং আন্তরিকতার সহিত স্মরণ করছি এই কর্মবীর মোহাম্মদ ছালেহকে যিনি শূন্য হাতে আমিরাত এসে আবুধাবির বিদা যায়েদে তাঁর ব্যবসা-বাণিজ্যের বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন।মোটর পার্টস, অটো ওয়ার্কশপ, অ্যালুমিনিয়াম ওয়ার্কশপ, স্ক্র্যাপ ব্যবসা সহ নানা ব্যবসার গোড়াপত্তন করেন তিনি আপন কর্মদক্ষতায়। তাঁর সাথে স্থানীয় আরবদের সখ্যতা ও ব্যবসায়িক সম্পর্কের কারণে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি।বিদা যায়েদ(মাদিনাত যায়েদ) সানাইয়া এলাকায় তাঁর নামে তারিক ছালেহ বা ছালেহ স্ট্রিটও একসময় প্রতিষ্ঠা করা হয়। এছাড়া তিনি দেশেও ব্যাবসা বানিজ্যে সফল একজন মানুষ। অর্থাভাবে পড়াশুনা বন্ধ হওয়ার উপক্রম ছাত্রকে অনুদান প্রদান, কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার বিবাহযোগ্যা কন্যার বিবাহে অর্থ সাহায্য দান, দরিদ্র প্রবাসীদের পুনর্বাসন, তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলোয় বিপুল সংখ্যক প্রবাসীর কর্মসংস্থানসহ বহু জনহিতকর কাজ করে গেছেন এই মহান কর্মবীর মোহাম্মদ ছালেহ। আবুধাবি ওয়েস্টার্ন রিজিয়ন বাংলাদেশ দূতাবাসের কনস্যুলার সেবা প্রদানের জন্য তিনি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এ দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছেন নিঃস্বার্থভাবে। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে দীক্ষিত এই ক্ষণজন্মা মানুষটি ছিলেন সমগ্র আবুধাবির ওয়েস্টার্ন রিজিয়নে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মীদের বিশ্বস্ত ঠিকানা ও আশ্রয়স্থল।একজন সমাজসেবী দানবীর ও মহৎ হৃদয়ের এই মানুষটির শূন্যতা অপূরণীয়। করোনা ভাইরাস সংকটের কারণে নিয়মিত বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় তার দুই পুত্র ও এক কন্যা দেশে ফিরতে না পারায় বাবাকে শেষ বারের মত দেখতে পেল না। তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রেখে গেছেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মোহাম্মদ ছালেহ’র জীবনের সমস্ত গুনাহ মাফ করে তাঁকে পরলৌকিক শান্তি দিয়ে বেহেশত নসিব করুক এবং তার শোকসপ্তত্ত পরিবারকে ধৈর্য ধরার তৌফিক দান করুক মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে আমরা সবাই এই ফরিয়াদই করছি’ আমিন।