এম.এইচ মুরাদ:
চট্টগ্রাম-৮ সংসদীয় আসনে (চট্টগ্রাম-৮ বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) উপ-নির্বাচন আগামী ১৩ জানুয়ারি (সোমবার) অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন কে পাচ্ছেন তা নিয়ে জনমনে জল্পনা-কল্পনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনমনে জল্পনা-কল্পনা থাকলে তৃণমূলের কাছে প্রার্থী হিসেবে পছন্দের তালিকায় রয়েছেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোছলেম উদ্দিন আহমদ।
সারাদেশে শেখ হাসিনার সরকার ব্যাপক উন্নয়ন করলে বোয়ালখালীতে দৃশ্যমান উন্নয়ন চোখে পড়ছে না। শহরতলীর নিকটবর্তী উপজেলা হয়েও উন্নয়নে পিছিয়ে থাকা এবং উন্নয়ন দৃশ্যমান না হওয়ার অন্যতম কারণ বোয়ালখালীবাসীর দুঃখখ্যাত একমুখী কালুরঘাট সেতু।
রাজনীতি এবং সমাজ সচেতন ব্যক্তিরা মনে করেন, আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলেও দলীয় লোক সংসদে না থাকায় অবহেলিত রয়ে গেছে বোয়ালখালী। ফলে বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত বোয়ালখালী-চান্দগাঁও আসন (চট্টগ্রাম-০৮) থেকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী কে হচ্ছেন তা নিয়ে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে চলছে জল্পনা-কল্পনা। সকলের কল্পনা-জল্পনা কে পাচ্ছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক।
উপ-নির্বাচনে একাধিক প্রার্থী ব্যক্তি দলের মনোনয়ন চাইলেও তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে এযাবতকাল নিয়মিত মাঠে রয়েছেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোছলেম উদ্দিন আহমদ। ফলে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের দাবী উপ-নির্বাচনে মোছলেম উদ্দিন আহমদই একমাত্র প্রার্থী হওয়ার যোগ্য দাবীদার।
বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত এ আসনে ভোটের লড়াইয়ে জিততে হলে প্রয়োজন স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য ইমেজের প্রার্থী। সে ক্ষেত্রে মোছলেম উদ্দিনকেই পছন্দ তৃণমূল নেতা-কর্মীদের। তবে এখানে দলের পক্ষে অন্যান্য একাধিক প্রার্থী আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।
একাধিক লোকজন জানান, সরকারের দলীয় লোক সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে উন্নয়ন কাজ করতে সুবিধা হয়। জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন এবং অন্যান্য পেশার মানুষের সাথে একটা সুসম্পর্ক বজায় থাকে। অন্যথায় সেটার ব্যতিক্রম পরিলক্ষিত হয়। সরকারী দলের লোক না হলে উন্নয়ন কাজে প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়।
জানাযায়, আপদমস্তক একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত আলহাজ্ব মোছলেম উদ্দিন আহমদ জেলা-মহানগর ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সংগঠনের গুরুত্ব দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব পালন করছেন। দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের প্রাক্তন সভাপতি আলহাজ্ব আকতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু এমপির মৃত্যুর পরথেকে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন মোছলেম উদ্দিন।
বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর, ষাট দশকের ছাত্রনেতা মোছলেম উদ্দিন আহমদের রাজনৈতিক পথচলার প্রথমপাঠ ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে কারাবরণ, নির্যাতন, নিপিড়ন কোন কিছুই দল থেকে চুল পরিমান সরাতে পারেনি। দলের চরম দুঃসময়েও কখনো দেশ ছেড়ে চলে যাইনি। একসময়ের বিরোধী দলের শত লোভনীয় প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে নিজ দলের প্রশ্নে তিনি কখনো আপোষ করেননি। তার জীবন, যৌবনের সবটুকু সময় জুড়ে রয়েছে আওয়ামী রাজনীতির এক বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক অধ্যায়। দলের প্রয়োজনে যখন যেটুকু দায়িত্ব অর্পিত হয়েছিল সফলতার সাথে পালন করেছেন তিনি। ফলে মাঠপর্যায়ের কর্মীদের কাছে অবিসংবাদিত এক জননেতার নাম মোছলেম উদ্দিন আহমদ।
মোছলেম উদ্দিনকে প্রার্থী হিসেবে তৃণমূলের পছন্দের কারণ হিসেবে জানা যায়, বোয়ালখালীবাসীর দুঃখ খ্যাত কর্ণফুলী নদীর উপর আরেকটি নতুন রেলকাম সড়ক সেতু নির্মাণের জন্য দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মোছলেম উদ্দিন আহমদ। এছাড়া বারবার সেতু নির্মাণের বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। বর্তমানে সেতুর বিষয়টি একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। তার এ অবদানের বিষয়টি দলীয় কর্মী ও সচেতন জনসাধারণের মাঝে ব্যাপকভাবে নাড়া দিয়েছে। এছাড়াও নিজ উদ্যোগে স্কুল ভবন, কালভার্ট ও সড়ক নির্মাণ ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে জনমনে।
বোয়ালখালী পৌরসভা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মো.জহুরুল ইসলাম জহুর বলেন, চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনে মোছলেম উদ্দিন আহমদকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দিলে আমরা তাকে বিজয়ী করে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এই আসনটি উপহার দেবে।
মোছলেম উদ্দিন আহমদ দীর্ঘদিন ছাত্র রাজনীতি করে এখন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, দলের জন্য যাদের ত্যাগ রয়েছে তাদের মধ্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ অন্যতম। তাই নির্বাচনে মোছলেম উদ্দিন আহমদকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি হাজী আব্দুল মান্নান রানা।
উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো.ওসমান গণি বলেন, আমরা মোছলেম উদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। তাই উপ-নির্বাচনে মোছলেম উদ্দিন আহমদকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দিলে আমরা নির্বাচনে তাকে জেতানোর জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত আছি এবং সুসংগঠিত যুবলীগের হাজার হাজার কর্মী নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনে আমরা আমাদের দলীয় প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন আহমদকে বিজয়ী করে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেবো।
দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস.এম.বোরহান উদ্দিন বলেন, শুধু বোয়ালখালীর দলীয় নেতাকর্মীরা নয়, দক্ষিণ চট্টগ্রামের লাখো নেতাকর্মীর প্রাণের দাবী জননেতা মোছলেম উদ্দিন আহমদকে চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়ার।
বোয়ালখালী পৌরসভা ছাত্রলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম.জাহাঙ্গীর রেজা বলেন,মোছলেম উদ্দিন আহমদ বোয়ালখালী পৌরসভা বাস্তবায়ন করে জীবন-যাত্রার মান বৃদ্ধি করেছেন। তাই সাধারণ মানুষও মোছলেম উদ্দিন আহমদকে উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে চাই।
দলীয় নেতাকর্মী এবং তৃণমূলের প্রত্যাশা, জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনে জননেতা মোছলেম উদ্দিন আহমদকে নৌকার প্রার্থী হিসাবে ঘোষনা করে অত্র এলাকার জনসাধারণের মনোবাসনা পূরণ করবেন।