মহানগর যুবলীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০১৩ সালে। সে সময় গঠিত কমিটি দিয়েই এতদিন চলছিল সংগঠনের কার্যক্রম। নগর যুবলীগের নেতৃত্বের শুন্যতা দুর করতে শেষ পর্যন্ত সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। সোমবার (৩০ মে) হতে যাওয়া চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সম্মেলন ঘিরে নগরীতে সাজ সাজ রব। ব্যানার, পোস্টার, বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে পুরো নগরী। কারা আসছেন নেতৃত্বে, তা নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে আলোচনা, হিসাব-নিকাশ। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন বলয় থেকে কে কে শীর্ষ পদে আসছেন সেই হিসাব মিলাতে ব্যস্ত দলের সিনিয়র নেতারাও। যুবলীগের সম্মেলন মুলত কমিটি গঠনের রীতি অনুসরণ ছাড়া আর কিছু নয়, কমিটি ঘোষণা করা হবে ঢাকা থেকেই। সেকারনে নতুন নেতৃত্বের তালিকা পেতে গুনতে হবে বেশকিছুদিন সময়।
দীর্ঘদিন পর উত্তর ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সম্মেলনও সম্পন্ন হয়েছে । কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই উত্তর ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সম্মেলন শেষ হয়েছে। তাই সবার চোখ এখন নগর যুবলীগের সম্মেলনের দিকে।
সবমিলিয়ে জীবনবৃত্তান্ত জমা পড়েছে ১৮৯টি। সবার আগ্রহের কেন্দ্রে চট্টগ্রাম মহানগর।চট্টগ্রাম মহানগরে সভাপতি পদে ৩৫, সাধারণ সম্পাদক পদে ৭০ জন লড়ছেন।
সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পর থেকে নগর যুবলীগের কমিটিতে শীর্ষস্থান পেতে পদপ্রত্যাশী নেতারা যে যার মতো তদবির করে যাচ্ছেন। শেষ মুহূর্তে এসে কেউ কেউ ঘুরছেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের দুয়ারে দুয়ারে। আবার কেউ কেউ ধরনা দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের কাছে।
নগরীর বিভিন্ন সড়কের দুপাশ ছেয়ে গেছে ছবি সংবলিত বিভিন্ন ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন ও তোরণে। বিশেষ করে ইঞ্জিনিয়ার ইনিস্টিটিউট এর আশপাশের এলাকায় ব্যানার, ফেস্টুনের ছড়াছড়ি। দলের হাই কামান্ডের নজরে আসতে চলছে প্রচার-প্রচারণাও।
দীর্ঘদিন পর সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি হবে, এ কারণে মহানগরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীর সংখ্যা বেশি। সভাপতি পদের জন্য যে ৩৫টি জীবনবৃত্তান্ত জমা পড়েছে, সেগুলোর মধ্যে আলোচনায় এগিয়ে আছেন— নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এম আর আজিম, নগর যুবলীগের বর্তমান কমিটির যুগ্ম আহবায়ক দিদারুল আলম চৌধুরী ও মাহবুবুল হক সুমন, সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি দেবাশীষ পাল দেবু, যুবলীগ নেতা দিদারুল আলম, হেলাল উদ্দিন, নুরুল আনোয়ার, হাসান মুরাদ বিপ্লব, সুরজিৎ বড়ুয়া লাভু, সিটি কলেজের সাবেক ভিপি রাজিব হাসান রাজন, কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিন, আরশাদুল আলম বাচ্চু, হাবিবুর রহমান তারেক, আবদুল মান্নান ফেরদৌস, মোহাম্মদ সাজ্জাত হোসেন, সুমন দেবনাথ ।
নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এমআর আজিম ও সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা দেবাশীষ পাল দেবু, সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক ভিপি রাজিব হাসান রাজন, যুবলীগ নেতা দিদারুল আলম, হেলাল উদ্দিন – এভাবেই সুপার ফাইভের ফরম্যাট চিন্তা করছেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের কেউ কেউ।
নগর যুবলীগের বর্তমান কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মাহবুবুল হক সুমন, দিদারুল আলম চৌধুরী, কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিন, সালাউদ্দিন, আবদুল মান্নান ফেরদৌস -এমন ফরম্যাটের ইঙ্গিত দিচ্ছে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতাদের কেউ কেউ।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের একটি সুত্রমতে, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আ জ ম নাসির উদ্দিন ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল- দুই বলয়ের সমন্বয়ে ঘোষণা করা হতে পারে যুবলীগের নতুন কমিটি। সামনের দিনগুলোতে মাঠে সক্রিয়ভাবে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম তরুনদের প্রাধান্যের কথা বলছেন সুত্রটি। তবে শেষ পর্যন্ত দলের সভানেত্রীর টেবিলেই নির্ধারিত হবে মহানগর যুবলীগের নতুন নেতৃত্ব।