স্টাফ রিপোর্টার:
চট্টগ্রামে ছয় দিনব্যাপী বিভাগীয় বই মেলা শুরু হলো আজ। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রাম জেলাপ্রশাসনের আয়োজনে এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম মাঠে বিকেলে এ মেলার উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার শংকর রঞ্জন সাহা। চট্টগ্রামের ২১টি সহ মোট ৬৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিয়েছে। এ মেলা ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন বিকাল ৩ টায় শুরু হয়ে রাত ৯ টা পর্যন্ত সর্ব সাধারণের জন্য মেলা উন্মুক্ত থাকবে। আর প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৯ টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকছে মেলা প্রাঙ্গণে। গতকাল বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, স্টলগুলোতে বই সাজানোর কাজে ব্যস্ত প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলো। এরই মাঝে বই প্রেমী দর্শনার্থীদের ছোট-খাটো ভিড় চোখে পড়ে। কেউ দেখছিলেন, কেউবা আবার বই হাতে নাড়াছাড়া করছিলেন। বই কিনতেও দেখা গেলো হাতে গোনা কয়েকজনকে। উৎসুক শিশু ও ছাত্র-ছাত্রীদের আনাগোনাও ছিল মেলায়। তবে বিকেল পর্যন্ত বেশ কিছু স্টল চালু হয়নি। আজ মঙ্গলবারের মধ্যে শতভাগ স্টল চালু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন জেলাপ্রশাসনের কর্মকর্তারা। আর সবকয়টি স্টল চালু হলে মেলায় দর্শনার্থীদের ভিড়ও বাড়বে বলে প্রত্যাশা আয়োজকদের। মেলায় আগত দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে গণশৌচাগারের ব্যবস্থাও। তাছাড়া মিডিয়া কেন্দ্র, লেখক কর্ণার ও নিরাপত্তা কেন্দ্রও রয়েছে মেলায়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার শংকর রঞ্জন সাহা বলেন, আমরা যারা শিক্ষিত হতে চাই তাদের একটি মাত্র উপায় রয়েছে, তা হচ্ছে বই পড়া। আজকে যারা জ্ঞানীগুণী, বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ হয়েছেন সবাই বই পড়ে আলোকিত হয়েছেন। বই একটি মানুষের জীবনকে আলোকিত করে। এছাড়া আমি মনে করি ই-বুক বইমেলাকে ধ্বংস করতে পারেনি। বরং প্রতিবছর বইমেলায় বই বিক্রি বাড়ছে। তিনি বলেন, নিজেকে সমৃদ্ধ করার জন্য বইয়ের কোনো বিকল্প নেই। আলোকিত মানুষ হতে হলে বইকে আবারো বুকে ফিরিয়ে আনতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব অসিম কুমার দে, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নুরেআলম মিনা। অন্যান্যের মাঝে আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সাহাব উদ্দিন, সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদের সভাপতি মহিউদ্দিন সরোয়ার নিপু, সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন প্রমুখ।
