স্টাফ রিপোর্টারঃ
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও তিন পাবর্ত্য অঞ্চলসহ ৫ জেলার সকল পাহাড়ের তালিকা (দাগ, খতিয়ানসহ) এবং পাহাড়ের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী তিন মাসের মধ্যে এ পাঁচ জেলার পাহাড়ের তালিকা জমা দিতে বলা হয়।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বিচারপতি মাহমুদুল হক এবং বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ নির্দিষ্ট সময়ের ভেতর এ প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) একটি আবেদনের শুনানি শেষে এই নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন বেলার প্রধান নিবার্হী আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এস. হাসানুল বান্না।
হাইকোর্টের এ আদেশের পর বেলার পক্ষ থেকে জানানো হয়, আদালত ২০১২ সালের ১৯ মার্চের (রিট পিটিশন নং ৭৬১৬/২০১১) দেওয়া রায়ের আলোকে পাহাড় কাটা রোধে সরকারের সংস্থাগুলো কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে প্রতিবেদন প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন। চট্টগ্রাম বিভাগের ওই জেলাগুলোর সর্বশেষ বিদ্যমান পাহাড়গুলোকে আরও ক্ষতি, ধ্বংস ও কর্তন থেকে রক্ষার জন্য সকল প্রয়োজনীয় ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া এবং পাহাড় ও টিলায় পাহাড় কাটা বিষয়ে আদালতের যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তা প্রতিটি পাহাড়ে প্রদর্শন করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও ইতোমধ্যে কাটা হয়েছে এমন পাহাড়গুলোতে দেশীয় প্রজাতির বৃক্ষরোপণ এবং দেয়াল দিয়ে সুরক্ষিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে এ মামলার বিবাদীরা হলেন— চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, পরিবেশ বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সচিব, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, সিডিএ চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক; চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি জেলার জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ কমিশনার, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, এবং পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের পরিচালক।