মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪ ২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

চট্টগ্রামে সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির পুত্রকে অবৈধভাবে দেওয়া গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন


প্রকাশের সময় :১২ জুন, ২০২১ ৮:০১ : অপরাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলার পর সাবেকমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির ছেলেকে দেওয়া ২২টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল)। ওই মামলায় ইতোমধ্যে সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শুক্রবার ও শনিবার (১২ জুন) গত দুইদিনে অভিযান চালিয়ে নগরীর চান্দগাঁও থানার সানোয়ারা আবাসিক এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন করা হয় বলে জানিয়েছেন কেজিডিসিএল’র মহাব্যবস্থাপক (কোম্পানি সচিব) মোহাম্মদ নুরুল আবচার সিকদার।

এর আগে, গত বুধবার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সাবেকমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির ছেলে মুজিবুর রহমানকে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ স্থানান্তর ও নতুন সংযোগ দেওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রামে দুদক একটি মামলা দায়ের করে। দুদকের চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত কার্যালয়-১ এর উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় মোট পাঁচজনকে আসামি করা হয়। এরা হলেন- কেজিডিসিএল’র মহাব্যবস্থাপক (ইঞ্জিনিয়ারিং ও সার্ভিসেস) মো. সারওয়ার হোসেন, দক্ষিণ জোনের টেকনিশিয়ান (সার্ভেয়ার) মো. দিদারুল আলম, সাবেক ব্যবস্থাপক মজিবুর রহমান, সাবেক মহাব্যবস্থাপক (বিপনন) মোহাম্মদ আলী চৌধুরী ও অবৈধভাবে সংযোগ পাওয়া গ্রাহক মুজিবুর রহমান।

মামলা এজাহারে বলা হয়েছে, নগরীর হালিশহর এলাকার বাসিন্দা এম এ সালাম নামে এক গ্রাহকের (বতমানে মৃত) নামে বরাদ্দকৃত ১৮টি অব্যবহৃত দ্বৈত চুলার সংযোগ ছিল। এর থেকে ছয়টি দ্বৈত চুলা রেখে বাকি ১২টি দ্বৈত চুলা নগরীর চান্দগাঁও সানোয়ারা আবাসিক এলাকার গ্রাহক মুজিবুর রহমানের নামে স্থানান্তর করা হয়। মৃত সালামের স্ত্রী নুরজাহান সালামের নামে ভুয়া চুক্তিনামা তৈরি করে সেগুলো স্থানান্তর করা হয়। মৃত সালাম এবং মুজিবুর রহমানের গ্রাহক সংকেত আলাদা। এ অবস্থায় সংযোগ স্থানান্তরের কোনো আইনগত বৈধতা নেই।

এছাড়া ২০১৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে গ্যাস সংযোগ দেয়া বন্ধ থাকলেও এই সিদ্ধান্ত অমান্য করে আরও ১০টি সংযোগ দেওয়া হয় মুজিবুর রহমানের নামে সানোয়ারা আবাসিক এলাকায়। ২০১৭ সালের ২ মার্চ থেকে পরের বছরের ২ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে এসব সংযোগ দেওয়া হয় বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়। ওই সময়ের মধ্যে ভুয়া আবেদনপত্র তৈরির মাধ্যমে গ্রাহক মুজিবুর রহমানের নামে মোট ২২টি অবৈধ সংযোগ দেওয়া হয়।

মামলা দায়েরের পর গত বৃহস্পতিবার (১০ জুন) কেজিডিসিএল’র বর্তমান মহাব্যবস্থাপক মো. সারওয়ার হোসেন, টেকনিশিয়ান দিদারুল আলম এবং সাবেক ব্যবস্থাপক মজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে দুদক। তারা বর্তমানে কারাগারে আছেন।

কেজিডিসিএল’র মহাব্যবস্থাপক (কোম্পানি সচিব) মোহাম্মদ নুরুল আবচার সিকদার একাত্তর বাংলা নিউজকে বলেন, ‘অবৈধ সংযোগগুলো বিপণন বিভাগের সংশ্লিষ্ট জোনের ভিজিল্যান্স টিম অভিযান চালিয়ে বিচ্ছিন্ন করেছে। মুজিবুর রহমানের নামে বরাদ্দ ২২টি সংযোগই বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।’

ট্যাগ :