এম.এইচ মুরাদঃ
এক তরুনীকে প্রেমের সম্পর্ক থেকে ফেরাতে ‘ঝাড়ফুঁক’ করায় ক্ষুব্ধ প্রেমিকের হাতে খুন হয়েছেন কবিরাজ শাহের মোহাম্মদ।
খুনের ঘটনায় ছয় তরুণকে গ্রেপ্তারের পর র্যাব এ তথ্য জানিয়েছে।
শুক্রবার ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে কর্ণফুলী থানার চরলক্ষ্যা ও ইছানগর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত লোহার রড।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. মহিউদ্দিন, তার ছোট ভাই মো. রাব্বি, মো. কাইয়ুম, মো. ইরফান, নাইমুল হক সাকিব ও আব্দুল করিম রিফাত। তাদের সবার বয়স ১৯ থেকে ২২ এর মধ্যে।
মহিউদ্দিন হত্যাকাণ্ডের ‘মূল হোতা’ বলে দাবি র্যাবের।
র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক এএসপি কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, মহিউদ্দিনের সাথে পাশ্ববর্তী এলাকার এক তরুণীর প্রেম ছিল। কিন্তু ওই তরুণীর মা মহিউদ্দিনের কাছ থেকে মেয়েকে সরিয়ে নিতে ঝাড়ফুঁকের জন্য কবিরাজ শাহের মোহাম্মদের কাছে যান বিভিন্ন সময়ে।
“সম্প্রতি ওই তরুণী বাড়ি থেকে পালিয়ে মহিউদ্দিনকে বিয়ে করে এবং কবিরাজের ঝাড়ফুঁকের কথা জানায়। এতে মহিউদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে কবিরাজ শাহের মোহাম্মদকে ‘শিক্ষা দিতে’ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পিটুনি দেয়। এতে মারা যায় শাহের।”
গত ১৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় শাহের মোহাম্মদকে তার শিকলবাহা ইউনিয়নের বাড়ি থেকে কয়েকজন ডেকে নিয়ে যায় বলে তার পরিবাররের অভিযোগ ছিল। পরে তাকে চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গোয়ালপাড়া চৌরাস্তা মোড়ে পিটিয়ে জখম করা হয়।
পিটুনিতে তার মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে এবং রাতেই তাকে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহের মারা যান বলে জানিয়েছিলেন কর্ণফুলী থানার ওসি ইসমাইল হোসেন।
র্যাব কর্মকর্তা তারেক আজিজ বলেন, “হত্যাকাণ্ডেরপরর্যাব ছায়া তদন্তে নেমে কর্ণফুলী থানা এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। কয়েকজনকে শনাক্ত করে তার তদন্ত চালিয়ে যায়।
“১৯ এপ্রিল দিন সন্ধ্যায় মহিউদ্দিন তার চাচীর অসুস্থতার কথা বলে চিকিৎসার জন্য শাহের মোহাম্মদকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় নিয়ে তাকে লোহার রড দিয়ে মারধর করে মহিউদ্দিন ও তার সহযোগীরা।”
মাধরের সময় তাদের আরও কিছু সহযোগী পাহারা দেয়ার কাজে জড়িত ছিল বলে র্যাব তথ্য পেয়েছে।
এএসপি তারেক বলেন, “শাহেরকে মারধরের পর লোহার রডগুলো একটি গোয়াল ঘরে রেখে তারা চলে যায়। রডগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।”